কেরানীগঞ্জ উপজেলার আটিবাজার সেতুর নিচ দিয়ে বয়ে গেছে বুড়িগঙ্গার একটি শাখা নদী। এই নদীকে দখল করে চলছে বাঁশের ব্যবসা।
সেতু ঘেঁষে নদীর এক তীরে বাজার অন্য তীরে বাঁশ বিক্রির দোকান ও বসতবাড়ি। বাজারের সকল ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে নদীতে। নদীর পাড়ে তৈরি হয়েছে ময়লার বিশাল স্তূপ।
স্থানীয় বেকারি ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘বাজারের সব ময়লা নদীতেই যায়। এই কয়েকদিন আগে থাইকা ময়লা নেওয়া শুরু করছে। লাভ নাই। সবাই ময়লা নদীতেই হালায়। অভ্যাস অয়া গেছে।’
স্থানীয়দের এই ‘অভ্যাস হয়া’ যাওয়ায় প্রায় সব ময়লা পরে নদীতে। ফলে কমেছে নদীর গভীরতা। এর কোনো সমাধান নেই স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন লিটনের কাছেও।
ঢাকাটাইমসকে লিটন বলেন, ‘ময়লা তো এখন আর কেউ ফালায় না। যে ময়লা আছে তা আর পরিষ্কার করে লাভ কি? গন্ধ তো আসে না।’
কিছু্ক্ষণ নদীর তীরে অপেক্ষা করে দেখা গেল, দেদারসে ময়লা ফেলছে স্থানীয়রা। শুধু বাজারের নয়। আশপাশের বসতবাড়ির ময়লার ঠিকানাও নদী।
চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি চেষ্টা করেছিলাম নদীটা আরো খনন করার। উপজেলা মিটিং এ আমি ব্যাপারটা নিয়ে কয়েকবার কথা বলেছি। কিন্তু উপর থেকে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।’
নদীকে ব্যবহার করে যেসব ব্যবসা চলছে তার একটি হলো বাঁশ বিক্রি। নদী পথে বাঁশ এসে নামে আটিবাজার সেতুর নিচে। এখান থেকেই বিক্রি হয়। রয়েছে ১০টি দোকান।
দোকানগুলো প্রথমে নদী থেকে দূরে থাকলেও দিন দিন তা আগাচ্ছে নদীর দিকে। আশপাশে বসতবাড়ি গড়ে ওঠায় নদীতেই ব্যবসা পেতেছেন অনেকে। ইতিমধ্যে ব্যবসায়ীরা দখন করেছেন নদীর অর্ধেকটা। ব্যাহত হচ্ছে নৌ চলাচল।
বাঁশ ব্যবসায়ী বাচ্চু ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আগে আরো পিছে আছিলাম। ওই জাগায় বাড়ি উঠছে। এর লাইগা এখানে আইছি। এহানে বাড়ি উঠলে নদীর উপরে গেতে (যেতে) ওইব।’
শুধু ব্যবসায়ীরাই নদী দখল করছেন তা নয়। নদী তীরবর্তী বসতবাড়ি গড়ে উঠছে নদী দখল করে। বাড়ি তৈরির সময় নদীর দিকে বেশ কিছুটা এগিয়ে গেছেন অনেক মালিক।
স্থানীয় বাসিন্দা মনোহর বলেন, ‘নদী তো আর এমনে এমনে দখল করা যায় না। উপরের ক্ষমতা লাগে। যাগো ক্ষমতা আছে হেরায় দখল করছে। পাঁচ শতাংশ জাগা(জায়গা) আট শতাংশ কইরা নিছে। তিন শতাংশ কার? ওইডাই নদী। এগুলা কে দেখবে? নদীডারে পুরা মাইরা ফালাইতাছে।’
ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন