সদ্য সমাপ্ত খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৭৪ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে সাধারণ ৩০টি ওয়ার্ডে ৬৮ জন এবং সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডে ছয়জন কাউন্সিলর প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়।
নির্বাচনে আট ভাগের এক ভাগ ভোটের কম পাওয়ায় এসব প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কেসিসি নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থীদের বেসরকারি প্রাথমিক ফলাফল শিট বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এবারের নির্বাচনে কেসিসির ৩১টি ওয়ার্ডে সাধারণ ১৪৮ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী বলেন, স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন-২০১০) এর বিধি ৪৪/৩ ধারায় কোনো প্রার্থী প্রদত্ত ভোটের এক অষ্টমাংশ ভোট না পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। একইসঙ্গে এই জামানতের টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হয়।
জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া প্রার্থীরা হলেন- ১ নম্বর ওয়ার্ডে মো. জাহাঙ্গীর লস্কর, মো. মহিউদ্দিন, মো. শাহাজাহান সিরাজ ও রোজিনা বেগম রাজিয়া, ২ নম্বর ওয়ার্ডে মো. আব্দুর রহমান মোল্লা, মো. শাকিল আহমেদ, মো. শাহ আলম মীর ও সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মো. আফজাল হোসেন, মো. আবু আসালাত মোড়ল, মো. ইকবাল গাজী ও মো. জাহাঙ্গীর আলম, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে এস এম হুমায়ুন কবির, মো. নাজমুল সিকদার ও মো. হারুন অর রশিদ, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে শাহ মো. ওয়াজেদ আলী মজনু, মো. শামসুল আলম মিল্টন ও মো. তরিকুল ইসলাম কাবির, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে মিজানুর রহমান, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সামসুল আলম, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে শেখ শওকত আলী, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে এএসএম সায়েম মিয়া, মো. জামাল ও শেখ খায়রুজ্জামান, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে কাজী নেয়ামুল হক মিঠু ও মো. মোস্তফা হাওলাদার, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে এইচ এম আবু সালেক, মো. আজমল হোসেন ও মো. শাহাবুদ্দীন, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে মো. ইমতিয়াজ আলম ও শেখ মোছাদ্দেক হোসেন বাবুল।
এছাড়া ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে মোল্লা রিজাউল ইসলাম, মো. মনিরুল ইসলাম, শেখ গোলাম কিবরিয়া, শেখ মশিউর রহমান ও শেখ লুতফার রহমান, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে এসএম আব্দুর রহমান ও জিএম কিবরিয়া, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে আতিকুর রহমান বিশ্বাস রুবেল, মল্লিক আসাদুজ্জামান ও শেখ মারুফ হোসেন, ১৮ নং ওয়ার্ডে টিএম আরিফ, মো. মুকুল শেখ, রুস্তম আলী হাওলাদার ও শেখ মো. আমিনুল ইসলাম, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে মো. ফজলুর রহমান, মো. মনিরুল ইসলাম ও শেখ মনিরুজ্জামান মনির, ২০ নম্বর ওয়ার্ডে মো. শাহজাহান, ২১ নম্বর ওয়ার্ডে এস এম শামিমুর আলম ও মো. মনিরুল ইসলাম, মো. ইলিয়াস হোসেন ও মো. নুর ইসলাম শেখ, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে জুনায়েদ চৌধুরী, মো. আবুতাহের ও মো. ছাবির হোসেন ছাব্বির, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে এস এম খায়রুল বাশার, মো. আসাদুজ্জামান আসাদ, শেখ মো. নাছির উদ্দিন ও সাইদুর রহমান, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে মো. ইমরান হোসেন মিয়া ও শেখ শহীদ আলী, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে এসএম মনিরুল ইসলাম, মো. মাহমুদ আলম বাবু মোড়ল ও শেখ আব্দুল আজিজ, মো. সাইফুল ইসলাম মোল্লা ও সুমন, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে মো. শেখ ফজলুল করিম, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে মো. রুহুল আমিন বিশ্বাস। এদের প্রত্যেকের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
পাশাপাশি সংরক্ষিত ওয়ার্ড ২ নম্বরে পারভীন আক্তার, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে আফরোজা আক্তার, মিসেস আরিফা আলম ও মোসা. ছাবিনা আখতার, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে খাদিজা সুলতানা ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডে মনোয়ারা সুলতানা কাকলীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
উল্লেখ্য, নির্বাচনী অনিয়মের কারণে তিনটি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত থাকায় ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ এবং ৯ ও ১০ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীদের ফলাফল ঘোষণা হয়নি। গত ১৫ মে খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক মেয়র পদে জয়ী হয়েছেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন