বাংলার সময়
আপডেট
১৩-০৬-২০১৮, ০৩:০৪
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি
ঈদকে সামনে রেখে ঢাকা-আরিচা ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে প্রকাশ্যে চলছে চাঁদাবাজি। দূরপাল্লার যানবাহনসহ সিএনজি অটোরিকশা থামিয়ে চাঁদার টাকা আদায় করছে প্রভাবশালীরা।এ অবস্থায় ব্যস্ততম মহাসড়কে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। চালকদের অভিযোগ, চাঁদার টাকা না দিলে মারধরসহ নানাভাবে হয়রানি করা হয় তাদের। তবে মহাসড়কে চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে প্রকাশ্যে চলছে চাঁদাবাজি।যত্রতত্র যানবাহন থামিয়ে চাঁদা আদায় করছে প্রভাবশালীরা। এতে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। একই চিত্র নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক ও টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের। দূরপাল্লার বাস থেকে শুরু করে অটোরিকশা ও থ্রিহুইলারের চালকদের কাছ থেকে জোর করে আদায় করা হচ্ছে চাঁদা। চালকদের অভিযোগ, প্রতিদিন নির্ধারিত হারে চাঁদা না দিলে থানাপুলিশসহ নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হয় তাদের।
গাড়ি চালকরা জানান, 'মাসে মাসে পুলিশকে পাচশো টাকা দিতে হয়। টাকা দিলে থানায় নেয় না। টাকা না দিলে গাড়িতে বাড়ি দেয়, চালাতে দেয় না।'
অবশ্য মহাসড়কে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা। সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে, মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচল বন্ধ হলে অনেকাংশে কমে আসবে যানজট।
মানিকগঞ্জ সওজ'র নয়ারহাট শাখার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আতিকুল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, 'শ্রমিক সংগঠন টুল নিয়ে বসে এবং মহাসড়ক থেকে ২০-৩০ টাকা নেয়। এটি তদন্ত করতে আমরা লোক পাঠিয়েছিলাম। তারা গিয়ে এরকম কাউকে পায়নি। কেউ যদি থেকে থাকে, কেউ যদি লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে অবশ্য আইনিনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান বলেন, 'অটোরিকশা বন্ধ করে দিলে যানজন কমে যাবে।'
মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের দেয়া তথ্য মতে, ঈদে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে উত্তরবঙ্গগামী অর্ধলক্ষাধিক এবং ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী ৩৮ হাজার যানবাহন চলাচল করে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন