শুক্রবার চাঁদ দেখা গেলে শনিবার সারাদেশে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদ উল ফিতর। তবে ঈদের আনন্দে বাগড়া দিতে পারে বৃষ্টি।
ঈদের দিন সকালে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। রাজধানীর আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকবে। বর্ষাকাল হওয়ার কারণে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জানান, ঈদের দিন ঢাকার আবহাওয়া শুষ্ক থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশালের আবহাওয়া শুষ্ক থাকলেও হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
তিনি বলেন, ‘বর্ষাকাল-তো তাই ছিটেফোটা বৃষ্টি হতে পারে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।’
আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ এবং বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়া ও বিজলী চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
অধিদফতর জানায়, মৌসুমী বায়ু উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় আছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উত্তর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
এদিকে গত কয়েক দিন টানা বর্ষণে পার্বত্য জেলায় ভূমিধসে মঙ্গলবার ১১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। অতিবৃষ্টিতে পানি বেড়ে ফেনীর মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে অন্তত ১৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য বলছে, ভারি বর্ষণের কারণে গঙ্গা ও পদ্মা নদীর পানি ধীরে ধীরে বাড়ছে।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মেঘনা অববাহিকার নদ-নদীর পানি সমতলে বাড়ছে। সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি আগামী ২৪ ঘণ্টায় বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। ফলে বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার বেশ কয়েকটি স্থানে আকস্মিক বন্যা দেখা দিতে পারে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন