১৯৩০ সাল থেকে প্রতি চার বছর পর পর অনুষ্ঠিত ক্রীড়াজগতের অন্যতম বৃহত্তম আসর বিশ্বকাপ ফুটবলের এ পর্যন্ত বিশটি আসর সম্পন্ন হয়েছে। চলতি ২০১৮ সালের আসর এই আয়োজনের ২১তম আসর। যদিও এ পর্যন্ত কোন মুসলিম দেশই বিশ্বকাপ অর্জন করতে পারেনি, কিন্তু বিশ্বের আর অন্যান্য দেশের মতই মুসলিম দেশগুলোতেও বিশ্বকাপ ফুটবলের উন্মাদনা রয়েছে। ২০০২ সালে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে তুরস্ক অংশগ্রহণ করে। বিশ্বকাপে মুসলিম দেশগুলোর সর্বোচ্চ সাফল্য হিসেবে তারা ঐ বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থান অধিকার করে।
এ বছর বিশ্বকোপের আসরে সাতটি মুসলিম দেশ অংশগ্রহণ করছে। এই সাতটি মুসলিম দেশের ফুটবল টিম সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোকপাত করা হল,
১. মিসর
উত্তর আফ্রিকার আরব মুসলিম দেশ মিসর এ বছর বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের পূর্বে আরো দুইটি আসরে অংশগ্রহণ করেছিলো। ১৯৩৪ সালে তারা প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে। এর ৫৬ বছর পর ১৯৯০ সালে তারা পুনরায় বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে।
“ফারাও” নামে পরিচিত মিসরীয় জাতীয় ফুটবল দল এপর্যন্ত সাতটি আফ্রিকা কাপ অব নেশন জয় করেছে। ফিফার বর্তমান র্যাংকিং অনুযায়ী আফ্রিকান জায়ান্ট এই ফুটবল দলের অবস্থান ৪৫ তম।
২. তিউনিসিয়া
”কার্থেজের ঈগল” নামে পরিচিত তিউনিসিয় ফুটবল দল এর পূর্বে চারবার বিশ্বকাপ ফুটবলে অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করে। এছাড়া আফ্রিকা কাপ অব নেশনের ২০০৪ সলের আসরে তারা চ্যাম্পিয়ন এবং আরো দুইবার তারা রানার্স আপ হয়।
ফিফার র্যাংকিং অনুযায়ী বর্তমানে তিউনিসিয়ার অবস্থান ২১।
৩. সেনেগাল
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সেনেগালের ফুটবল দল তাদের ভক্তদের কাছে পরিচিত “তেরাঙ্গার সিংহ” হিসেবে। ২০০২ সালে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ ফুটবলে অংশগ্রহণ করেই তারা কোয়ার্টার ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়। আফ্রিকা কাপ অব নেশনে ২০০২ সালের আসরে তারা রানার্স আপ হয়েছিলো। ফিফা র্যাংকিংয়ে তারা বর্তমানে ২৭তম স্থানে অবস্থান করছে।
৪. ইরান
পশ্চিম এশিয়ার দেশ ইরান মুসলিম বিশ্ব ও এশিয়ার দেশসমূহের মধ্যে একটি শক্তিশালী ফুটবল দল। ফিফার র্যাংকিং অনুযায়ী বর্তমানে তাদের অবস্থান ৩৭ তম।
বিশ্বকাপ ফুটবলে তারা এই নিয়ে পঞ্চমবারের মতো অংশগ্রহণ করছে। এছাড়া “পারসিক সিংহ” নামে ভক্তদের কাছে পরিচিত এই ফুটবল দলটি তিনবার এশিয়ান কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
৫. নাইজেরিয়া
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়া মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক বিশ্বকাপের আসরে অংশ গ্রহণ করে। ১৯৯৪ সালে প্রথম অংশ গ্রহনের পর তারা এই পর্যন্ত মোট ছয়বার বিশ্বকাপের আসরে অংশগ্রহণ করে।
“সুপার ঈগল” নামে পরিচিত নাইজেরীয় ফুটবল দল তিনবার আফ্রিকা কাপ অব নেশন জয় করে। তাদের বর্তমান ফিফা র্যাংকিং ৪৮।
৬. মরক্কো
উত্তর আফ্রিকার আরব মুসলিম দেশ মরক্কোর ফুটবল দল তার ভক্তদের কাছে পরিচিত “আটলাসের সিংহ” নামে। ১৯৭০ সালে প্রথম অংশগ্রহণের পর থেকে তারা এপর্যন্ত পাঁচবার বিশ্বকাপ ফুটবলে অংশগ্রহণ করে। এছাড়া তারা ১৯৭৬ সালের আফ্রিকা কাপ অব নেশনে চ্যাম্পিয়ন হয়।
ফিফা র্যাংকিয়ে তাদের বর্তমান অবস্থান ৪১।
৭. সউদি আরব
এশিয়ার অন্যতম ফুটবল পরাশক্তি সউদি আরব তার ভক্তদের কাছে পরিচিত “সবুজ ঈগল” (দ্যা গ্রিন ফ্যালকন) নামে। ১৯৯৪ সালে প্রথম অংশগ্রহণের পর থেকে চলমান বিশ্বকাপ সহ এ পর্যন্ত তারা পাঁচবার বিশ্বকাপ ফুটবলের আসরে অংশ গ্রহণ করেছে। এশিয়ান কাপে তারা তিনবার কাপ জয় করে।
ফিফা র্যাংকিংয়ে বর্তমানে তাদের স্থান ৬৭।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন