বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় বেসরকারি একটি ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় মোসাম্মত সালমা বেগম (২৫) নামে এক প্রসূতির মৃতু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আজ শনিবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে পাথরঘাটা সৌদী প্রবাসী ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে সালমার মৃত্যুর খবর শুনে তার আত্মীয় স্বজন এবং এলাকাবাসী সৌদী প্রবাসী ক্লিনিক ঘেরাও করে রেখেছেন। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ এবং চিকিৎসক ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন।
সালমা বরগুনার তালতলী উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের শিকারী পাড়া গ্রামের মো. মনির হোসেনের স্ত্রী ও পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের বড় পাথরঘাটা গ্রামের হানিফার মেয়ে।
এ বিষয়ে মৃত সালমা বেগমের স্বামী ও তার বাবা জানান, রাতে সালমার প্রসব ব্যথা শুরু হলে তাকে পাথরঘাটা সৌদী প্রবাসী ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে আসা হয়। রাত আড়াইটার দিকে চিকিৎসক রুনা রহমান অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে সিজারিয়ান অপারেশন করেন। ঘণ্টা খানেক পর অপরাশেন থিয়েটার থেকে বের হয়ে এসে বলেন, সালমার প্রেসার হাই হয়ে গেছে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশালে নিয়ে যেতে হবে।
তাৎক্ষণিক অ্যাম্বুলেন্সে করে সালমাকে বরিশাল নেওয়ার আগেই তাদের সন্দেহ হলে তারা ফের পরীক্ষার জন্য পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে সালমাকে নিয়ে যান। সেখানের চিকিৎসক ভোর ৫টার দিকে শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে সালমাকে মৃত ঘোষণা করেন এবং জানান রোগী আরো এক থেকে দেড় ঘণ্টা আগে মারা গেছেন।
সালমার স্বামী মো. মনির হোসেন অভিযোগ করেন, ডাক্তারের ভুল চিকিৎসা এবং অবহেলার কারণেই আমার স্ত্রী মারা গেছে। আমি এর বিচার চাই।
পাথরঘাটা থানার ওসি মোল্লা মো. খবীর আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শীর্ষ নিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন