আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি স্বাভাবিক ব্যালট পেপারেই ভোটগ্রহণের পক্ষে। কারণ হিসেবে দলটি বলছে, সাধারণ মানুষ এখনো ইলেকট্রনিক্স ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট প্রদানে প্রস্তুত নয়।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণে ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে দলের অবস্থান তুলে ধরার পর পরই বিএনপির এই বক্তব্য এলো।
গত ১৩ মে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চের কাজী বশির উদ্দিন মিলনায়তনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা মনে করি, ইভিএম পদ্ধতি একটি আধুনিক এবং প্রযুক্তিগতভাবে ভুল হওয়ার সম্ভবনা নেই। এই পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে নির্ভুল এবং নিরপেক্ষ ফলাফল যথাযথ হবে। কোনোকিছু ভালো করতে গেলেই, তাঁরা (বিএনপি) বলে মানি না, মানব না। ইভিএমের মতো একটি পদ্ধতির বিরোধিতা বিএনপি করে যাচ্ছে। এটা সিদ্ধান্ত নিবে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু আমাদের দলীয় অবস্থান ইভিএমের পক্ষে, তা দেশবাসী এবং নির্বাচন কমিশনকে জানানোর অধিকার আমাদের রয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি।’
এর আগে গত ৭ মে ইভিএম ব্যবহার করে ভোট নেওয়ার পক্ষে মত দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তাঁর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেন, ‘ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হলে বিএনপি যেসব অভিযোগ করে, তা আর করতে পারবে না। নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারবে না। স্বচ্ছতা আসবে, খরচও কমবে।’
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শনিবার রাজধানীর রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক আলোচনায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ প্রসঙ্গে অবস্থান তুলে ধরেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ এখনো ইভিএমে ভোট দেওয়ার জন্য প্রস্তুত নয়। সাধারণ ব্যালট পেপারেই বিএনপি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায়। নির্বাচন যদি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় তাহলে অবশ্যই বিএনপি জনগণের রায় নিয়ে ক্ষমতায় আসবে।’
আলোচনা সভার আয়োজন করে ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন (অ্যাগ্রিকালচারাল সায়েন্স)। ‘বাংলাদেশের কৃষি ও পল্লী উন্নয়নে প্রেসিডেন্ট জিয়ার নীতি ও কর্মসূচি’ শীর্ষক সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. ইদ্রিস মিয়া।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন