গণফোরাম সভাপতি ও সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, দুর্নীতি থেকে যদি আমরা মুক্ত না হই তাহলে আমরা কোনো কিছুই অর্জন করতে পারব না। সব পরিশ্রম, ত্যাগ, সাধনা ও অর্জন ব্যর্থ হবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ‘ম্যানেজ’ নামক শব্দটিকে নির্মূল করতে হবে। আইনের শাসন ছাড়া মানবাধিকার, ন্যায়বিচার ও সু-শাসন প্রত্যাশা করা যায় না।
শনিবার বেলা ১২টায় নগরীর উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে ড. মো. মোজাহারুল ইসলামের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বৃত্তি প্রদান এবং অ্যাডভোকেট ফিরোজ আহমেদ স্মারকগ্রন্থ প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
‘ড. মোজাহারুল ইসলাম ও শার্লী ইসলাম ফাউন্ডেশন’ এ অনুষ্ঠানের আযোজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ মাজহারুল হান্নান।
ড. কামাল হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য এ দেশের লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যেক গ্রামের মানুষ সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। দু’-একজন রাজাকার ছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা সারা দেশের মানুষের অর্জন। আজকের তরুণদের উপলব্ধি করতে হবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এমনি এমনি আসেনি। বহু মানুষের ত্যাগে এ স্বাধীনতা এসেছে। মুক্তিযুদ্ধের বিজয় সারা দেশের মানুষের বিজয়।
তিনি বলেন, নীতির প্রশ্নে, স্বাধীনতার প্রশ্নে বাঙালি তরুণরা সব সময় আপসহীন। সেই ইতিহাস ধরেই ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪’ নির্বাচনে ২৭ বছরের যুবকের কাছে সে সময়ের মুখ্যমন্ত্রীর পরাজয় হয়েছিল। বাঙালি কখনো আপস করেনি। বাঙালি তরুণদের রুখতে আইয়ুব খান পারেনি, মোনায়েম খাঁ পারেনি।
তরুণদের উদ্দেশে ড. কামাল হোসেন বলেন, আগে আমরা সবাই মানুষ হব। মানুষ আমাদের হতেই হবে। বাংলাদেশের একটা অসম্ভব ভবিষ্যৎ রয়েছে। এদেশে যোগ্যতার ভিত্তিতে সবকিছু হতে হবে। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক সব জায়গায় যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। এটাই স্বাধীনতার অন্যতম শর্ত ছিল। এখনো আছে।
পরে ড. কামাল হোসেন ১১ জন কৃতী স্কুল শিক্ষার্থীর মধ্যে ড. মোজাহারুল ইসলাম শিক্ষা বৃত্তি প্রদান এবং অ্যাডভোকেট ফিরোজ আহমেদ স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন ফাউন্ডেশনের সম্পাদক আয়েশা হান্নান ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ব্যারিস্টার তৌফিক আহমেদ মার্কস।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন