বিশেষ প্রতিনিধি

‘একটি ইংরেজি পত্রিকার সম্পাদক রায়ের ড্রাফট লিখে দিয়েছেন’ বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ও সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। রোববার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (১নং) দক্ষিণ হলে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে দেয়া রায়ে অপ্রাসঙ্গিক ও অসাংবিধানিক বক্তব্যে সংক্ষুদ্ধ হয়েছেন আইনজীবীরা। এ কারণে রয়ে দেয়া অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্যগুলো বাতিলের দাবি জানিয়ে এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সমাবেশে ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘আমরা জানি কারা এ ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত। জাতির কাছে একে-একে তাদের মুখোশ উন্মোচন করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা জানি এ রায়ের ড্রাফট কোথা থেকে এসেছে। একটি ইংরেজি পত্রিকার সম্পাদক এ ড্রাফট লিখে দিয়েছেন। আমরা এ কাজের নিন্দা জানাই।’

আওয়ামী লীগের এই নেতা এবং আইনজীবীর কথায় স্পষ্ট যে, উচ্চ আদালতের অনেক রায়ের ড্রাফট আদালতের বাইরে থেকে আসে! এই প্রাক্টিস আগে থেকে চলছে বলেই তাপস প্রকাশ্যে এক্ষেত্রে তা বলে দিতে পেরেছেন। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় বাংলাদেশের আদালত কতটা স্বাধীন এবং তা আসলে কারা চালায়।

তাপস অবশ্য পরিস্কার করেন নি যে, কোথা থেকে প্রকাশিত হয় সেই পত্রিকাটি, ভারত না কি বাংলাদেশ থেকে। শেখ হাসিনার সাথে ভারতের পছন্দের ব্যক্তি প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বেশ কিছু ইস্যুতে দ্বন্দ্ব চলছে। শেখ হাসিনার চেয়ে ভারতের কাছে সিনহা বেশি প্রিয়। এমতাবস্থায় সিনহা ভারত থেকে রায়ের ড্রাফট লিখিয়ে আনেন এমনটাও বুঝিয়ে থাকতে পারেন ব্যরিস্টার তাপস! ভারত সিনহাকে দিয়ে নতুন কোনো খেলা খেলতেও পারে হাসিনার সাথে।

তবে তাপসের এই কথায় স্পষ্ট যে, ভারত হোক আর বাংলাদেশ হোক আদালতের রায় বাইরে থেকে আসার দৃষ্টান্ত বাংলাদেশে আছে। ঠিক েএকই রকমভাবে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালের রায়গুলোও আসতো আদালতের বাইরে থেকে। অবশ্য তখন আওয়ামী লীগ এটা অস্বীকার করতো।

একই ভাবে হয়তো তারেক রহমানের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের রায় ড্রাফট করে দিয়েছিলেন বাইরের কেউ। তাহলে এখন আদালতে শুনানি চলা মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায় ড্রাফট করছেন কারা?