বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন। অবশেষে পুলিশ প্রেমিকাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
গত মঙ্গলবার বিকালে নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার বিরামপুর এলাকায় চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মোহনগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ পারভেজ চৌধুরীর সাথে আনন্দ মোহন কলেজের মাষ্টার্সের শেষ বর্ষের ছাত্রী সাউদা আমিন শাম্মীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পারভেজ বিরামপুর এলাকার মৃত আফজাল হোসেন চৌধুরীর ছেলে ও শাম্মী কলেজ রোড এলাকার নূরুল আমিনের মেয়ে। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে প্রেম চলে আসছিল। সে সুবাদে তারা একে অপরকে বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দেয়। প্রেমিক পারভেজ চৌধুরী প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে অন্য মেয়েকে বিয়ে করার উদ্যোগ নিলে ক্ষিপ্ত প্রেমিকা বিয়ের দাবিতে গত মঙ্গলবার বিকাল থেকে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শুরু করে। এসময় বিয়ে না করলে সে আত্মহত্যার হুমকিও দেয়।
স্থানীয় লোকজন অনেক বুঝানোর পরও প্রেমিকা তার অবস্থানে অনঢ় থাকায় পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল আকার ধারণ করে। অবস্থা বেগতিক দেখে ছেলের পরিবার বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ রাতে প্রেমিকের বাড়ি থেকে প্রেমিকাকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে যায়। মেয়ের মামা গোলাম রব্বানী পুতুলের অভিযোগ, প্রেমিক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ায় ক্ষমতার দাফট দেখিয়ে পুলিশকে দিয়ে প্রেমিকার ন্যায় সঙ্গত দাবিকে উপেক্ষা করছে।
সহকারী পুলিশ সুপার (বারহাট্টা সার্কেল) শফিউল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মেয়ের ভাষ্যমতে ছেলে অন্যত্র বিয়ের চেষ্টা করলে মেয়ে এই দাবি তুলে। খবর পেয়ে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানা পুলিশের হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দিকনির্দেশনায় পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন