কুড়িগ্রামে রেড ক্রিসেন্টের দেওয়া বানভাসিদের ত্রাণ সহায়তায় ভাগ বসিয়েছে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুই নেতা। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে জেলার নাগেশ্বরীর উপজেলার কচাকাটা ইউনিয়নে।
এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতা-কর্মী কঠোর সমালোচনা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, শুক্রবার কচাকাটা ইউনিয়নে বন্যার্ত চারশ’ মানুষের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ও প্রতিজনকে এক হাজার চারশ’ টাকা দেয় রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। শনিবার ত্রাণ বিতরণকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কচাকাটা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আতাউর রহমান প্রত্যেক সুবিধাভোগীর কাছে চারশ' থেকে পাঁচশ' টাকা করে দাবি করেন। অন্যদিকে একইভাবে টাকা দাবি করেন ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি মমিনুর রহমান।
কচাকাটা ইউনিয়নের ব্যাপারিটারী গ্রামের মহেলা বেগম, মরিয়ম বেগম, নূর বানু, হাসনা বেগমসহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, মমিনুর রহমান ও আতাউর রহমান এসে তাদের কাছে টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে না চাইলে তারা বলেন, কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হয়। টাকা না দিলে এরপর কোথাও নাম দেওয়া হবে না। জোর করে তাদের কাছ থেকে পাঁচশ' করে টাকা নেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে আতাউর রহমানের ফোন কলের ভয়েস রেকর্ড পাওয়া গেছে। এতে একজন ত্রাণগ্রহীতা বলেন, ‘রেড ক্রিসেন্টের মাল হামাক দিছে না, তা অনেকজনে আসি জিগাইতেছে, তোমরা যে চারশত টাকা নিলেন!’ অপরপ্রান্ত থেকে আতাউর রহমান বলেন, ‘মানুষের কিছু পাইতে গেলে কিছু দিতে হয়। ছেলেরা চেয়েছে দিয়েছেন তাতে কিছু হয়নি।’ এ ঘটনায় দলটির নেতা-কর্মী অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা বলেন, ত্রাণ পাওয়া চারশ' মানুষের কাছ থেকে প্রায় দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি উপজেলা ও জেলা কমিটিকে জানানো হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রুহুল আমীন বলেন, আমার এলাকায় সবার কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে বলে শুনেছি।
টাকা নেওয়া বিষয়ে আতাউর রহমান বলেন, যারা সুবিধা পায়নি তারাই এসব বলছে। এসব মিথ্যা। তবে ফোনালাপের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কিছু উত্তর দিতে পারেননি।
কচাকাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ আলী জানান, বিষয়টি বিভিম্ন মাধ্যমে শোনা যাচ্ছে। বিষয়টি দলীয়ভাবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ব্রেকিংনিউজ.
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন