টুডে ডেস্ক
দীর্ঘ এক মাসের নীরবতা ভেঙ্গে অবশেষে রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর চলমান গণহত্যা নিয়ে মুখ খুলেছেন কথিত সুশীল ও মানবাধীকারে কর্মী সুলতানা কামাল।
জার্মানিতে নাৎসি বর্বরতার মতোই মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বরতা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা, বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল।
বুধবার ডিআরইউ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের হত্যা-নির্যাতনের প্রতিবাদ ও তাদের মানবাধিকার রক্ষার দাবিতে ওই সংবাদ সম্মেলরে আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন নাগরিক অধিকার সংগঠন ও বিশিষ্ট নাগরিকরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সুলতানা কামাল বলেন, “এমন নগ্ন মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ব্যাপক বর্বরতার নজির কেবলমাত্র ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশে পাকিস্তানি হানাদারের নিষ্ঠুরতা ও নির্বিচার গণহত্যার সঙ্গে তুলনীয়। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে জার্মানিতে নাৎসি বর্বরতার যে নজির আছে, মিয়ানমারের সামরিক জান্তার রোহিঙ্গাবিরোধী অভিযান যেন তারই পুনরাবৃত্তি।”
সুলতানা কামাল উল্লেখ করেন, মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী এবং আনুষ্ঠানিক সরকার প্রধান অং সান সু চির ভাষণে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর ওপর অমানবিক নির্যাতন ও হত্যার কোনো স্বীকৃতি নেই। তাদের দেশে ফিরিয়ে নেয়া বা আন্তর্জাতিক আইন ও রীতিনীতি অনুযায়ী তাদের নাগরিক অধিকার, মানবাধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আশ্বাস নেই।
এ সময় তিনি ভারত, চীন, রাশিয়া, জাপান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলোকে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানান।
অন্যদিকে রোহিঙ্গা সমস্যা মোকাবিলায় ওআইসিভুক্ত মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ওআইসির মহাসচিব ইউসেফ আল উথাইমিনের সভাপতিত্ব আনুষ্ঠিত ওআইসি কনটাক্ট গ্রুপের বৈঠকে শেখ হাসিনা এ আহ্বান জানান।
এ সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমারের নিরপরাধ নাগরিক বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের সুরক্ষা দিতে সেদেশের অভ্যন্তরে ‘নিরাপদ অঞ্চল’ তৈরির প্রস্তাব দেন এবং ‘অনতিবিলম্বে নিঃশর্তভাবে এবং সম্পূর্ণরূপে’ কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন