বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলামকে বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়েরকৃত একটি মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার বগুড়া জেলার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত -১-এর বিচারক ইমদাদুল হক এ আদেশ দেন। এর আগে ভিপি সাইফুল আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন।
তবে নাশকতা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের অভিযোগে বগুড়া সদর থানায় দায়েরকৃত অপর একটি মামলায় বগুড়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শ্যাম সুন্দর রায়ের আদালতে হাজির হয়ে ভিপি সাইফুল জামিন আবেদন করলে আদালত তা মন্জুর করেন। এদিকে জেলা বিএনপি ভিপি সাইফুলের মুক্তির দাবিতে অর্ধ দিবস হরতালসহ ৯ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে বগুড়া সদরের বারপুর এলাক্য়া আলু বোঝাই একটি ট্রাকে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর ভিপি সাইফুলসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। এ মামলাটির ভাংচুর নাশকতা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শ্যাম সুন্দর রায়ের আদালতে হাজির হয়ে ভিপি সাইফুল বৃহস্পতিবার জামিন আবেদন করেন। বিচারক জামিন মন্জুর করেন।
এরপর ভিপি সাইফুল একই মামলার ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত -১-এর বিচারক ইমদাদুল হকের আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। তখন রাষ্ট্র পক্ষ জামিনের বিরোধিতা করলে বিচারক আবেদন নামন্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পুলিশ এসময় তাকে সরাসরি বগুড়া জেলা কারাগারে নেয়। আদালতে ভিপি সাইফুলের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট একেএম মাহবুবর রহমান, এ কে এম সাইফুল ইসলাম, শেখ মোকলেছুর রহমান, আব্দুল বাছেদ, নাজমুল হুদা পপন প্রমুখ।
এসময় আদালত প্রাঙ্গনে বহু নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ আদালতের বিভিন্ন প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেয়।
এরপর জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ৯ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে। জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন। কর্মসূচিতে রয়েছে, শুক্রবার জেলা বিএনপির বিক্ষোভ, শনিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলায় অর্ধদিবস হরতাল, রোববার মানববন্ধন, সোমবার শহর যুবদল, মঙ্গলবার স্বেচ্ছাসেবকদল, বুধবার ছাত্রদল, বৃহস্পতিবার শ্রমিকদল, শুক্রবার মহিলা দল, শনিবার জেলার প্রত্যেক উপজেলায় বিক্ষোভ কর্মসুচী পালিত হবে।
এ সময়ের মধ্যে মুক্তি না দিলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান জয়নাল আবেদীন চাঁন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শোকরানা, ফজলুল বারী বেলাল, আব্দুর রহমান, আলী আজগর হেনা, মীর শাহে আলম, এম আর ইসলাম স্বাধীন, নাজমুল হুদা পপন, পরিমল চন্দ্র দাস, আব্দুল ওয়াদুদ, মেহেদী হাসান হিমু, দেলোয়ার হোসেন পশারী হিরু, মোশারফ হোসেন স্বপন, সাইদুল কবির, নাজসা আক্তার, মাসুদ রানা, মাহবুব হাসান লেমন, হাসানুজ্জামান পলাশ, শফিকুল ইসলাম শফিক প্রমুখ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন