: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, ‘আমরা জয়ের মুখোমুখি, সেই পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে। আগামী দিনের আন্দোলনে আমাদের সাংগঠনিক কর্মদক্ষতা আরও বৃদ্ধি করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের হলরুমে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দল আয়োজিত চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর মূল্য উর্ধ্বগতির প্রতিবাদ এবং রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের দাবিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীন সরকারের বিশ্বাস ঘাতকতা ও ব্যর্থতা এখন সর্বক্ষেত্রে বিরাজমান। তারা জনগণের সরকার নয় বলে খাদ্য সম্পর্কে তাদের কোন নীতিমালা নেই, তাই তারা চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। মন্ত্রী, এমপিরা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তাদের ক্ষমতায় থাকার নৈতিক কোন অধিকার নেই।’
সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থ সরকার আবার ভোটবিহীন নির্বাচন করতে চাচ্ছে মন্তব্য করে নোমান বলেন, ‘এই সরকারের জনগণের কাছে কোন জবাবদিহিতা নেই। আবার তারা ভোটবিহীন নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে, বাংলাদেশের মাটিতে আমরা পুনরায় আর এমন নির্বাচন হতে দিতে পারি না।’
চালের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সাবেক এই খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তোফায়েল, আব্দুর রাজ্জাক ও কামরুল ইসলাম এই ৩ মন্ত্রী চাল ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করেছেন, কিভাবে দাম কমানো যায়, মজুতদারি রোধ করা যায়? এমন পরিস্থিতিতে মজুদদাররা বললো তারা চালের সংকট যাতে না হয় এই জন্য মজুদ করেছে। এমন হলে বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। চালের দাম কেন বাড়ছে, কেন এই সংকট? এই ঘটনার গভীরে না যাওয়া পর্যন্ত এই সংকট মোকাবেলা সম্ভব নয়। সংকটের কারণ হলো ডিমান্ডেড সাপ্লাই নিশ্চিত করতে না পারা।’
নোমান বলেন, ‘সরকারি খাদ্যাগারে যে পরিমাণ মজুদ থাকার কথা ছিল সে পরিমাণ মজুদ নেই। আজকের দিনে ১০ লাখ মেট্রিক টন চাল মজুদ থাকার কথা সেখানে ২ লাখ মেট্টিক টন রয়েছে। সরকারি মজুদের কথা ব্যবসায়ীরা জেনে যান নানাভাবে। কোন বাজারে চালের চাহিদা বেশি সেখানে সংকট তৈরি করে দাম বাড়িয়ে দেন এসব ব্যবসায়ীরা। এছাড়া সরকার ব্যবসায়ী ও মিল মালিকদের থেকে ৩০ থেকে ৩২ টাকায় চাল কিনতে চেয়েছিল। ব্যবসায়ীরা তা দেয়নি। ফলে সরকার এই প্রকল্পে ব্যর্থ হয়েছে।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হাজী মো. লিটনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি মোশাররফ হোসেন, জিনাপের সভাপতি মিয়া মো. আনোয়ার, এনডিপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈশা, বাগেরহাট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা, ড.কাজী মনিরুজ্জামান মনির, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন