তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল ও সোহরাওয়ার্দি হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
অস্ত্র হাতে মহড়া দেয়া সবাই চবি ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি আলমগীর টিপুর অনুসারী বলে পরিচিত।
মহড়ার পর অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বৃস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সিক্সটি নাইন’ গ্রুপের এক কর্মীর সাথে ‘ভিক্স’ গ্রুপের এক কর্মীর কথা কাটাকাটি হয়। এসময় ভিক্স গ্রুপের কয়েকজন কর্মী ‘সিক্সটি নাইন’ গ্রুপের মাহমুদ নামের এক কর্মীকে মারধর করেন।
এ ঘটনার জের ধরে বিকাল তিনটার দিকে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য ‘সিক্সটি নাইন’ গ্রুপের নেতাকর্মীরা শাহজালাল হল ও ‘ভিক্স’ গ্রুপের নেতার্মীরা সোহরাওয়ার্দি হলের সামনে অস্ত্রের মহড়া দিতে থাকে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এসময় পুলিশ হল দুটিতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ রামদা ও লোহার রড উদ্ধার করে।
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে ‘বাংলার মুখ’ গ্রুপের নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সহ-সভাপতি মো: মামুনকে মারধর করে ‘সিক্সটি নাইন’ গ্রুপের কয়েকজন কর্মী। এ ঘটনায় বর্তমানে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ স্থগিত কমিটির সভাপতি আলমগীর টিপু পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘জুনিয়দের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। আমরা এ বিষয়ে সমাধানের চেষ্টা করছি। কিন্তু আমাদের কমিটি না থাকায় এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে আমরা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছি না। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন যে ব্যবস্থা নেবে আমরা তাই মানব।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘আমরা হলের সামনে থেকে কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছি। তবে ভর্তি পরীক্ষাকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ধরনের অস্ত্রের মহড়া আমরা দিতে দিব না। যেকোনো অস্ত্রসহ কাউকে পেলে গ্রেফতার করা হবে।’
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি হতে দেওয়া হবে না বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, এর আগে গতকাল (বুধবার) খেলা দেখাকে কেন্দ্র করে দুপুর থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দি হলের সামনে দফায় দফায় মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পাঁচ জন আহত হন। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ফজলে রাব্বি সুজনের অনুসারী হিসাবে পরিচিত।
পরিবর্তন
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন