সুনামগঞ্জে আ’লীগ নেতাসহ দু’জনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা
সুনামগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতাসহ দু’জনের বিরুদ্ধে একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় হত্যা ও লুটপাটসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বুধবার মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
মামলায় আসামি করা হয়েছে, তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের ভাটি তাহিরপুর গ্রামের গ্রামের মৃত সফর আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম (৬১) ও তারই চাচাত ভাই মৃত আবদুল জব্বারের ছেলে আফাজ উদ্দিন (৭০)।’
আমলগ্রহণকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন উপজেলার সদর ইউনিয়নের উজান তাহিরপুর গ্রামের মৃত মাইন উদ্দিনের ছেলে বীরমুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন।’
এদিকে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল দাবি করেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বয়স ছিল মাত্র ৭ বছর।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত আ’লীগ নেতা শফিকুল ইসলামের পরিবারের কয়েকজন সদস্য ৭১’র স্বাধীনতা যুদ্ধকালে রাজাকার বাহিনীর সক্রিয় সদস্য হিসাবে ওই সময়ের ২৫ আগস্ট মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবুল কাশেম পাক বাহিনীর সঙ্গে সম্মূখ যুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হন। পরবর্তীতে শফিকুল ইসলাম ও তার চাচাত ভাই আফাজ উদ্দিন আবুল কাশেমকে টেনে হিঁচরে তহশীল অফিসের সামনে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। ’
আমলগ্রহনকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামলাটি গ্রহন করে পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করেছেন বলে মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বুধবার রাতে যুগান্তরকে বললেন, ১৯৬৪ সালের ১ জানুয়ারি আমার জন্ম। একাত্তরে আমার বয়স ছিল মাত্র ৭ বছর ৩ মাস। তিনি পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন একজন নাবালক শিশু কী করে স্বাধীনতা যুদ্ধে হত্যা লুটপাট ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করতে পারে নাকি আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করতেই এ সাজানো মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে তা তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে। এর সঙ্গে আমাদের দলের কিছু নেতাও জড়িত ’
মামলার অপর আসামী বার্ধক্যজনিত কারনে শয্যাশায়ী ও রোগাক্রান্ত হিসাবে কথাবার্তা বলতে অপারগ বিধায় আফাজ উদ্দিনের বক্তব্য নেয়ায় সম্ভব হয়নি।
এদিকে মামলার বাদী গিয়াস উদ্দিন বয়সের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, মামলার সঠিক তদন্ত হলে সব বেরিয়ে আসবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন