চিকিৎসা শেষে ৯৫ দিন পর দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তাকে অভ্যর্থনা জানাতে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতির মাধ্যমে দীর্ঘদিন পর শোডাউন করল বিএনপি। যদিও এটাকে শোডাউন বলতে নারাজ দলের নেতারা।
বুধবার দুপুরের পর থেকে বিমানবন্দর সড়কে নামে নেতাকর্মীদের স্রোত। বিকেল ৫টার আগেই বিমানবন্দর সড়কের আশপাশে নেতাকর্মীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
জনস্রোত একপর্যায়ে সড়কের ফুটপাত থেকে রাস্তায় নেমে আসে। হ্যান্ড মাইকে নেতাকর্মীদের মূল সড়কে না নামার অনুরোধ জানায় পুলিশ। শেষ পর্যন্ত তাদের সামলাতে হিমশিম খায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর বিমানবন্দর থেকে মূলসড়কে উঠতেই হুমড়ি খেয়ে পড়েন নেতাকর্মীরা। এসময় জনস্রোত ঠেলে গাড়িবহরকে সামনে এগোতে বেগ পেতে হয়।
ঢাকা মহানগর বিএনপির খিলগাঁও থানা শাখার নেতা তাজুল ইসলাম ভূইয়া রিপন পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘এটা কোনো দলীয় কর্মসূচি নয়। আমাদের নেত্রী বিদেশ থেকে ফেরার সময় আমরা উনাকে রিসিভ করার জন্য এবং অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দরে আসি। এটা আমাদের ভালোবাসা থেকে আসা।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের লাখো নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে সরকারি দলের বুকে কম্পন ধরে যায়। এজন্য পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে আমাদের নানাভাবে হয়রানি-নির্যাতন করা হয়।’
বিএনপির মুখপাত্র ও সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘এটা কোনো শোডাউন নয়। দলীয় কোনো কর্মসূচিও নয়। নেত্রীর বিদেশ থেকে আগমনে আমরা নেত্রীকে রিসিভ করতে এসেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের কয়েক লাখ নেতাকর্মী নিজ থেকে নেত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে এখানে এসেছেন। এটা নেত্রীর প্রতি নেতাকর্মীদের ভালোবাসা।’
এরআগে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বিকেল ৫টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন খালেদা জিয়া। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন