নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
আজ ১৮ অক্টোবর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, চাল, ডাল, তেল, লবন, মাছ, গোশত, তরিতরকারী ও মসলাসহ নিত্য-প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। অস্বাভাবিকভাবে দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির ফলে সীমিত আয়ের মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র লোকদের জীবন-যাপন অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, বাজারে মোটা চালের দাম প্রতি কেজি ৫০ টাকা এবং সরু চাল প্রকার ভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। মসুর ডাল প্রতি কেজি ১৩০ টাকা, মুগ-ডালের দাম প্রতি কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রয় হচ্ছে ১৩০ টাকা দরে, মাসকলাইর ডাল প্রতি কেজি ১৩৫ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। ভোজ্য সোয়াবিন তেল ১০৬ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে প্রতি লিটার, লবনের দাম প্রতি কেজিতে ২টা বেড়ে এখন বিক্রয় হচ্ছে ৪০/৪২ টাকা। এভাবে দেখা যাচ্ছে যে, মাছ, গোশত, তরিতরকারী ও মসলার দামও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। করলা প্রতি কেজি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা, পটল বেগুন ৬০ টাকা দরে প্রতি কেজি বিক্রয় হচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার মুখে বড় বড় কথা বললেও নিত্য-প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। সরকার চালের মূল্য কমানোর কথা বললেও বাস্তবে চালের মূল্য ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্ব গতির ফলে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া, শ্রমিক, মজুরসহ সীমিত আয়ের সাধারণ দরিদ্র শ্রেণী ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ। দেশের দরিদ্র শ্রেণীর মানুষ দু’বেলা পেট ভরে খেতে পায় না। সেদিকে সরকারের কোন ভ্রুক্ষেপই নেই। সরকার জনগণের দুঃখ-কষ্টের কথা চিন্তা না করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে গায়ের জোরে ক্ষমতায় টিকে থাকার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। তাই জনগণের প্রতি এ সরকারের যেমন কোন দায়বদ্ধতা নেই, তেমনি জনগণের দুঃখ-কষ্ট লাঘবেরও কোন কার্যকর পদক্ষেপ সরকারের নেই।
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূলের উর্ধ্বগতি রোধ করে তা দরিদ্র জনগণের ক্রয় সীমার মধ্যে নিয়ে আসার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
শীর্ষনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন