অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে নিজ দলের কর্মীদের ছুরিকাঘাতে ছাত্রলীগ কর্মী ওমর ফারুক মিয়াদ (২২) খুনের ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রায়হান চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আরো নয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও তিন-চারজনকে আসামি করা হয়েছে।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) রাতে নিহতের বাবা আবুল মিয়া বাদী হয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরাণ থানায় মামলাটি (নং-৬, ১৮/১০/১৭) দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেন।
মামলায় হেফাজতে থাকা মূল হোতা তোফায়েল এবং তার ভাই ফখরুলকেও গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। এছাড়া বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
মামলায় অন্য আসামিরা হচ্ছে- ছাত্রলীগ কর্মী সারোয়ার হোসেন চৌধুরী, জুবায়ের খান, জাকারিয়া মাহমুদ, রুহেল, ফাহিম শাহ, শওকত হাসান মানিক ও রাফউল করিম মাসুম।
উল্লেখ্য, সোমবার বিকেলে নগরীর টিলাগড় জামে মসজিদের পাশের গলিতে প্রতিপক্ষ গ্রুপের কর্মীদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন ছাত্রলীগ নেতা ওমর আহমদ মিয়াদ (২২)। তার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায়।
সে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিরন মাহমুদ নিপু গ্রুপের কর্মী। হামলাকারীরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম রায়হান চৌধুরী গ্রুপের কর্মী। হামলায় আহত হয়েছেন আহত নাসির ও তারিক নামে আরও দুই ছাত্রলীগ কর্মী।
ঘটনার পরপরই সন্দেহভাজন হিসেবে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে মূলহোতা তোফায়েলের ভাই ফখরুলকে আটক করা হয়। আটক ফখরুল ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের লাইসেন্স শাখায় চাকরি করেন।
এদিকে বুধবার ভোরে ঢাকার শেরেবাংলা নগর জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তোফায়েলকে আটক করে সিলেটে নিয়ে আসা হয়।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন