নির্বাচনকালীন সেনা মোতায়েনের বিষয়ে একাধিক রাজনৈতিক দলের করা প্রস্তাব ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে আওয়ামী লীগের অবস্থান তুলে ধরে দলটির সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে আওয়ামী লীগ বিরোধিতা করেনি। তবে আইনে যেভাবে আছে সেভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমরা কমিশনকে বলেছি।’
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর সেতুভবনে বাস র্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্প নিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সই অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে গতকাল বুধবার ইসির সঙ্গে নির্বাচনী সংলাপ করে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এসময় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ১১ দফা প্রস্তাব দেওয়া হয়।
সেই প্রস্তাবের ১০ নম্বর প্রস্তাবটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনির হাতে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব দেয়া। প্রতিরক্ষা বাহিনিকে আইনশৃঙ্খলা কাজে অন্তর্ভুক্ত করতে কোনও কোনও রাজনৈতিক দলের প্রস্তাব দেয়া আইন ও সাংবিধানিক নিয়মে সাংঘর্ষিক। আইনশৃংখলার ক্ষেত্রে কোন পরিস্থিতিতে প্রতিরক্ষা বাহিনিকে নিয়োগ করা যাবে তা ফৌজদারি কার্যবিধি ও সেনা বিধিমালায় সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। প্রতিরক্ষা বাহিনিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনির দায়িত্ব দিলে তাদের মর্যাদা বিনষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
গতকাল বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাতে উত্তরা-বনানী সড়কের দুপাশে অবস্থান নেওয়া বিএনপি নেতাকর্মীদের সমালোচনা করে কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরলে তাঁকে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী। তবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রাস্তায় দাঁড়াননি। জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেননি।’
বিএনপি বেগম জিয়াকে অভ্যর্থনার নামে রাস্তা বন্ধ করে তাণ্ডব চালিয়েছে ও নগরবাসীকে চরম ভোগান্তিতে ফেলেছে বলেও এসময় মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন