আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করার জন্য আওয়ামী লীগ যে প্রস্তাব দিয়েছে, তা জনগণের প্রস্তাব। কিন্তু বিএনপির প্রস্তাব দলীয় প্রস্তাব।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন। ‘শেখ রাসেলের জন্মদিন এবং বিপন্ন মানবতা ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে শেখ হাসিনার ভূমিকা’ শীর্ষক এ আলোচনার আয়োজন করে বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ। এতে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, সব রাজনৈতিক দল যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে এবং বাংলাদেশের মানুষ নির্ভয়ে ও নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে—সেই স্বার্থে আওয়ামী লীগ নির্বাচন কমিশনে ১১ দফা প্রস্তাব দিয়েছে। এই প্রস্তাব জনগণের প্রস্তাব। বিএনপির প্রস্তাব হচ্ছে দলীয় প্রস্তাব। নির্বাচনে বিএনপির জয় নিশ্চিত করার স্বার্থে তারা কিছু প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনে দিয়েছে।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের সঙ্গে ‘বৈঠক’ করেছেন দাবি করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘লোকে বলে অশান্তি বেগম দেশে এসেছেন। দেশ সাড়ে তিন মাস শান্তিতে ছিল। তিনি পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা এবং জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। দেশে অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন। আপনি যদি এই তকমা মুছতে চান, তাহলে দেশে অশান্তি সৃষ্টি করবেন না।’
খালেদা জিয়ার উদ্দেশে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যদি দেশে অশান্তি সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালান, তাহলে বাংলাদেশের মানুষ দাঁতভাঙা জবাব দেবে। গতকালও আপনার আগমন উপলক্ষে দেশে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারের সতর্ক অবস্থানের জন্য বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারেনি। কিন্তু বেগম জিয়া বারবারই দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চান।’
সরকার চাইলে খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করতে পারত উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। সরকার চাইলে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারত, কিন্তু করেনি। আর সরকার কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেনি, করেছে আদালত। কারণ তিনি আদালতের অনুমতি না নিয়ে বিদেশ চলে গিয়েছিলেন, আদালতে গরহাজির ছিলেন। এ জন্য আদালত আইনকে সমুন্নত রাখার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে বাধ্য হয়েছেন।’
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপ বিষয়ে বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদের বক্তব্যের সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ আরও বলেন, মওদুদ আহমদের বক্তব্যেই স্পষ্ট হয়ে গেছে যে তাঁরা পরিকল্পনা করছে আগামী নির্বাচন ভন্ডুল করতে। এর আগেও এমন পরিকল্পনা তাঁরা করেছিল এবং ব্যর্থ হয়েছিল।
বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান দুর্জয়ের সভাপতিত্বে সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চিত্তরঞ্জন দাস, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক মুনশি এবাদুল ইসলাম, শ্যামপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী হাবিবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন