বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু বলেছেন, প্রধান বিচারপতিকে ঘিরে সরকার নোংরা খেলায় মেতে ওঠেছে। আমরা দেখছি, তিনি যাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে ১১টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এখন শুনেছি, আইনমন্ত্রী বলেছেন দুদক এ ১১টি অভিযোগ খতিয়ে দেখবে। বৃহস্পতিবার গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক একান্ত সাক্ষাৎকারে এ প্রতিবেদকের কাছে এসব কথা বলেন।
মোশরেফা মিশু বলেন, আমাদের প্রশ্ন হলো এস কে সিনহা যদি সত্যিই এ ১১টি অভিযোগে অভিযুক্ত থাকেন- কোন নৈতিক অবস্থানে থেকে তাকে প্রধান বিচারপতির আসনে বসালেন। তবে কি সরকারের প্রতি শতভাগ আনুগত্য প্রদর্শন করলে কোন অপরাধই অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয় না। আর আনুগত্যের ব্যত্যয় ঘটলেই ১১টি অভিযোগ বা অপরাধ সাজানো হয়। এটা তো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য নয়। সরকারি আনুগত্য নির্বিশেষে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে তার গণতান্ত্রিক চরিত্র নির্ধারিত হয়।
তিনি বলেন, ১১টি অভিযোগ দায়ের করার মধ্যদিয়ে প্রধান বিচারপতি বিষয়ক গোটা প্রক্রিয়াটি শেষ হয়ে গেছে তা মনে হয় না। আগামী ১০ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি ছুটিতে আছেন। নভেম্বরের ১০ তারিখের মধ্যে যদি তিনি দেশে ফেরেন এবং তার চেয়ারে বসতে চান-তা হলে পরিস্থিতিটা কি দাঁড়াবে। ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে অন্য বিচারপতিরা তার সঙ্গে বসতে অনাগ্রতা প্রকাশ করেছে- এটাও আমাদের জানতে হলো তিনি দেশের বাইরে চলে যাওয়ার পর। যদিও আইনমন্ত্রী এবং এটর্নী জেনারেল বলেছেন, তিনি আর চেয়ারে বসার মতো পরিস্থিতি থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, সবকিছু মিলিয়ে বলা যায়- প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা আদালত বিষয়ে যেহেতু সরকারের সঙ্গে ভিন্ন মত পোষন করেছেন তাই সরকার তার সকল গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছে এবং বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতাকে কবর দিয়ে সিনহাকে ক্রিমিনাল হিসেবে জন সম্মুখে তুলে ধরেছেন। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বিচার বিভাগের স্বাধীন ও নিরপেক্ষ যে অবস্থান থেকে তা পদদলিত করেছে। এটা মুক্তিযুদ্ধের গণতান্ত্রিক চেতনা পরিপন্থী এবং সরকারের এ স্বৈরাচারী অবস্থান আগামী দিনে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও বিচার ব্যবস্থাসহ সব কিছুর জন্য হুমকি স্বরূপ।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন