রাজধানীর পলাশী বাজারে দোকানদার-ছাত্রলীগ সংঘর্ষ, আহত ৪
রজধানীর পলাশীর বাজারে বুয়েট প্রকৌশলী মার্কেট দোকানদার-ছাত্রলীগ সংঘর্ষে ৪ জন আহত হয়েছেন। এফ রহমান হলের দ্রুব নামে এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করেছে দোকানীরা। সে চারুকলার প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। আহত শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। এসময় মুরগীর ৩ দোকানদারকে বেদম পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের ছাত্রলীগ সভাপতি হাফিজুর রহমান গ্রুপের কর্মীরা। তাদের মধ্যে মলাই (৬০) ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রাত সাড়ে ৭ টার দিকে সততা পোল্ট্রি ফার্ম এর দোকানদার হাসানের সঙ্গে এফ রহমান হলের প্রথম বর্ষের ছাত্র দ্রুব’র মুরগীর দাম নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায় দ্রুবকে আঘাত করা হয়। এর জের ধরে এ এফ রহমান হলের চতুর্থ বর্ষের রাজু এবং তৃতীয় বর্ষের সাজুর নেতৃত্বে ২৫/৩০ জন কর্মী লাঠি/হকস্টিক নিয়ে বুয়েট প্রকৌশলী মার্কেটে ‘সততা পোল্ট্রী ফার্ম’ দোকানে আসে। সেখানে মলাই মুন্সি কিল ঘুষি মারে। এলোপাতাড়ি মারপিটে ঘটনাস্থলে মলাই মুন্সির মাথা ফেটে যায়। বাজারের লোকজন তাকে ধরে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে থাকা মলাই মুন্সির মেঝ ছেলে আরিফকে ১০/১২ জন বেদম প্রহার করে। ছোট ছেলে হাসানকে হকিস্টিক দিয়ে পেটানো হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সততা পোল্ট্রি ফার্মের দোকানদার আরিফ পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, সামান্য কথাকাটাকাটির কারণে তারা আমার বাবার মাথা ফাটিয়ে দেয়। আমাকে ১০/১২ জন মিলে অনেক মারধর করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান পরিবর্তনকে বলেন, পলাশীর ওই বাজারে ছাত্রদের সাথে মুরগীর দোকানদারের কথারকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে কয়েকজনকে শিক্ষার্থীরা মেরে বলে আমি শুনেছি। পরে আমি খোঁজ নেওয়ার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পুলিশ পাঠিয়েছি। যারা মেরেছে, তাদেরকে তো আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
হল ছাত্রলীগের সভাপতি হাফিজুর রহমানের মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ পরিবর্তন কে বলেন, ‘ওখানে যারা গিয়েছে এরা ছাত্রলীগের কেউনা। কারণ ছাত্রলীগ এগুলো করেনা’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন