নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে প্রচারণায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষিত কমিটি গঠনের নির্দেশনা মানেনি ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ ৫ মাসেও সদস্য সংগ্রহ শুরু হয়নি অনেক জেলায় সিলেট-চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের লাশের মিছিল- ধর্ষণ-পরীক্ষা জালিয়াতিতে জড়িয়ে পড়ছেন ছাত্রনেতারা।
ক্ষমতার ধারা অব্যাহত রাখতে দলকে সুসংগঠিত, শক্তিশালী, শৃঙ্খলাবদ্ধ ও সমালোচনা মুক্ত রাখতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে নানা নির্দেশনা দিলেও দলের তৃণমূলের অধিকাংশ নেতাই তা মানছেন না। এতে ভেস্তে যাচ্ছে দলকে গতিশীল রাখার নানা কৌশলী পরিকল্পনা। উদ্বিগ্ন এ পরিস্থিতিতে কেন্দ্র থেকে এ ব্যাপারে বার বার সতর্ক করা হলেও মিছিল মিটিং, শো-ডাউন ছাড়া অন্যান্য শৃঙ্খলা ও গঠনমূলক সিদ্ধান্ত মানার ক্ষেত্রে তৃণমূল নেতারা গড়িমসি করছেন।
দলের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের মতে, সংগঠন এমন হবে যে এক কমান্ডে দলের সকল উইং স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করবে। কিন্তু সংগঠন বড় হওয়ায় অনেক চেষ্টার পরও তা সম্ভব হচ্ছে না।
স্বাভাবিকভাবে এটিকে সমস্যা হিসেবে না দেখলেও জাতীয় নির্বাচনের আর মাত্র বছর খানিক বাকি থাকায় নেতাকর্মীদের শৃঙ্খলাবদ্ধ করার বিষয়টি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে দলটি। কেননা তা না হলে নেতাকর্মীদের বিতর্কিত কাজের সব দায়ভার দলের কাঁধে এসে পড়বে এবং নির্বাচনে জয়লাভ সম্ভব হবে না বলে মনে করছে দলটির নীতি-নির্ধারকরা।
জানা যায়, গত ৩১ মে'র মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সকল থানা, ওয়ার্ড, ইউনিয়নের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে ওবায়দুল কাদের নির্দেশ দিলেও যথা সময়ে তা বাস্ত্মবায়ন করেনি মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে ৫ জুলাই মহানগর উত্তর ১২টি থানা ও ৩০টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে কিন্তু ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে বিএনপি-জামায়াতের চিহ্নিত কর্মী ও মামলার আসামিদের পদ দেয়ায় তা ৭ জুলাই স্থগিত করে দেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। এছাড়া সকল স্থানেই কমিটি গঠনে পদ বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।
গত মে মাসের ২০ তারিখ শুরম্ন হওয়া সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম শুরম্ন হলেও সবেমাত্র অনেক জেলা-মহানগর কাজের উদ্বোধন করছেন। আর যারা আগে শুরম্ন করেছেন তাদের কাজে আশানুরূপ গতি নেই।
দেখা যায়, বিতর্কে না জড়ানো ও বিতর্কিত কর্মকা- না করার বিষয়ে কড়া নির্দেশনা থাকলেও একটির পর একটি বিতর্কিত ঘটনার জন্ম দিয়েই যাচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। গত জুলাই থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত্ম দেশব্যাপী সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের স্থানীয় নেতাদের কয়েকটি ধর্ষণের ঘটনা বগুড়ায় যুবলীগ নেতা তুফান সরকারের ধর্ষণের ঘটনায় মারাত্মক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে দলকে। বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন হোসেন মোলস্না চাঁদার টাকা না পেয়ে এক টেম্পো চালকের স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির কারণে গ্রেপ্তার হয়েছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন রানা।
এছাড়া সিলেট ও চট্টগ্রামে বছরজুড়ে ছাত্রলীগের মারামারি খুনোখুনিতে বিপর্যস্ত্ম আওয়ামী লীগ। বছরের শুরম্ন থেকে এ পর্যন্ত্ম অঙ্গসংগঠনসহ প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী নিহত হয়েছে দলটির।
এছাড়া ১০ জুলাই সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ও পরে বিএনপি দেশব্যাপী যে তা-ব চালিয়েছিল, নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছিল, আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করেছিল সেসব দিনের ঘটনাগুলো বাংলাদেশ টেলিভিশন ও অন্যান্য মাধ্যমে জোরালো প্রচার করার নির্দেশনা দিয়েছেন। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিটিভিসহ অন্যান্য মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াতের সেই দিনগুলোর তা-ব প্রতিদিন প্রচার করতে হবে। প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের সংশিস্নষ্ট মন্ত্রী ও সচিবদের বলেছেন, প্রত্যেক মন্ত্রণালয় তাদের নিজ নিজ অর্জন এবং উন্নয়ন কর্মকা-ের কথা জনগণের মাঝে প্রচার করতে হবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কথাও মানা হচ্ছে না।
এ প্রসঙ্গে দলের সভাপতিম-লীর সদস্য কর্নেল (অব.) ফারম্নক খান যায়যায়দিনকে বলেন, '২০তম সম্মেলনের পর থেকে দলের গতি অনেক বেড়েছে। জাতীয় ও আন্ত্মর্জাতিকভাবে দলের অনেক অর্জন রয়েছে। কিন্তু শৃঙ্খলার বিষয়ে আমাদের কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। তৃণমূল ও অঙ্গসংগঠনকে যতটুকু কঠোরতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার ছিল তা করা হয়নি।'
আরেক সভাপতিম-লীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক যায়যায়দিনকে বলেন, 'আওয়ামী লীগ বিশাল একটি সংগঠন। এতবড় সংগঠন নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। আর দল ক্ষমতায় থাকলে নেতাকর্মীদের মধ্যে একটু উগ্রতা কাজ করে। বছরের শুরম্ন যতটা বিশৃঙ্খলা ছিল তা এখন নেই। তবে আমরা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছি।'
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিভিন্ন দিবসের ফেস্টুন-পোস্টারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয়, জাতীয় চার নেতা বাদে অন্য কারো ছবি ব্যবহার না করার নির্দেশনা থাকলেও বিভিন্ন দিবসে নেতাকর্মীরা নিজের ছবিসহ পোস্টার, ফেস্টুন করে কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও ধানম-ির দলীয় সভাপতির কার্যালয়ের সামনে ভরপুর অবস্থায় দেখা গেছে। যা গণমাধ্যমে প্রচার হয়েছে।
দীর্ঘদিন কমিটি আটকে না রাখা ও পূর্ণাঙ্গ করা, বিএনপি-জামায়াতের কাউকে সংগঠনে প্রবেশ করতে না দেয়া ও নেতাকর্মীদের দলীয় শৃঙ্খলা মেনে চলার নির্দেশনা দেয়া হলেও তা খুব কম বাস্ত্মবায়ন হচ্ছে।
মহিলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে হলমার্ক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে সমালোচিত সোনালী ব্যাংকের সাবেক পরিচালক জান্নাত আরা হেনরি হন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং চট্টগ্রামের জামায়াত নেতা মমিনূল হক চৌধুরীর মেয়ে রিজিয়া রেজা চৌধুরী নদভীকে করা হয় কেন্দ্রীয় সদস্য। যুব মহিলা লীগের কমিটিতে দুই নম্বর সহসভাপতি করা হয়েছে শিরিনা নাহার লিপিকে। তার স্বামী কামরম্নল ইসলাম সজল বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ৫৯ নম্বর সদস্য এবং যুদ্ধাপরাধ মামলায় আসামি পক্ষের একজন আইনজীবী বলে জানা গেছে। কমিটির তিন নম্বর যুগ্মসম্পাদক করা হয়েছে অ্যাডভোকেট শাহানাজ পারভীন ডলিকে। তিনি ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা শিবিরের সাবেক সেক্রেটারি কামাল সিকদারের আপন বোন বলে জানা গেছে।
বিতর্কিত ও অতি কথা না বলা, নেতিবাচক কর্মকা-ে না জড়ানো, সরকারের উন্নয়ন ও বিএনপির নৈরাজ্যের জনসম্মুখে প্রচার, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংসদ সদস্যদের সরকারের উন্নয়ন কর্মকা-ের প্রচার করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সাংসদদের উন্নয়ন প্রচারণা খুবই সামান্য।
গত ৮ আগস্ট অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, 'সরকারি চাকরিজীবীদের চেয়ে সাংবাদিকদের বেতন অনেক বেশি তাই তাদের ওয়েজ বোর্ডের প্রয়োজন নেই।' তার এই বক্তব্যে ক্ষোভ জানায় গোটা সাংবাদিক সমাজ। এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং নিজে নবম ওয়েজ বোর্ডের ব্যাপারে রাজি। অর্থমন্ত্রী যাই বলুক না কেন, তিনি তো আলোচনার দ্বার বন্ধ করে দেননি।'
এছাড়া সাভারের সাংসদ ডা. এনামুর রহমান একাধিক সন্ত্রাসীকে ক্রস-ফায়ারে দিয়েছেন বলে বক্তব্য দিয়ে সমালোচনার তৈরি করেন। এর পর গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে তিনি তার বক্তব্য প্রত্যাহার করেন।
এদিকে দীর্ঘ দিন ধরে তৃণমূলের কোন্দল মীমাংসা করে দলকে সুসংগঠিত করা, মারামারি-হানাহানি বাদ দেয়া, চাঁদাবাজি, ভূমিদখল না করা, দলীয় প্রার্থীর বিপরীতে নির্বাচন না করার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সংগঠনের নির্দেশনা থাকলেও কোনোটারই পূর্ণাঙ্গ বাস্ত্মবায়ন বা স্বস্ত্মিমূলক সমাধান হয়নি বরং বিভিন্ন সময় তা আরও বাড়তে দেখা গেছে। এ নিয়ে প্রায়ই ভেতর ও বাহিরের সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে দলটিকে।
কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যেও চলছে দ্বন্দ্ব। মাদারীপুরে দ্বন্দ্বের জেরে মারামারির পর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম দলের সম্পাদক ম-লীর সভায় নৌ-পরিবহরমন্ত্রী শাজাহান খানকে 'দানব' বলে মন্ত্মব্য করেন। কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর সঙ্গে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনির নির্বাচনী আসন নিয়ে দ্বন্দ্বের বিষয়টিও আলোচনায় রয়েছে এখনো।
চট্টগ্রামে সংগঠনের দ্বন্দ্ব দূর করতে দলের সাধারণ সম্পাদক একাধিকবার সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও বর্তমান মেয়র মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করলেও কোনো কাজ হয়নি।
এদিকে অনেক কেন্দ্রীয় নেতা জেলা নেতাদের চেয়ে বয়সে ছোট হওয়ায় তারা কেন্দ্রীয় নেতাদের মানতে চান না। এ নিয়ে কিছুটা জটিলতা রয়েছে দলে।
এ বিষয়ে কর্নেল (অব.) ফারম্নক খান বলেন, এমনটি হওয়ার কথা নয়। দলে কেউ কারো আন্ডারে চাকরি করে না। সবাই সবাইকে সম্মান করবে এটাই নিয়ম। যে বয়সে ছোট কিন্তু পদে বড় তার অবশ্যই যোগ্যতা বেশি বলেই সে পদ পেয়েছে। আর যিনি বয়সে বড় সে তো এমনিতেই সম্মান পাবার যোগ্য। পরস্পরের মধ্যে সম্মানবোধ থাকলে এ ধরনের সমস্যা থাকবে না বলে আশা করি।
এছাড়া বরিশালের আগৈলঝাড়ার ইউএনওসহ দেশব্যাপী নেতাদের দায়ের করা একাধিক তথ্য-প্রযুক্তির ৫৭ ধারায় মামলা নিয়ে বেশ আলোচনা সৃষ্টি হওয়ায় এই মামলা করতে হলে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অনুমতি নিতে নির্দেশনা দিয়েছে দলটি।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, দলের জেলা, মহানগর, উপজেলা, পৌরসভা শাখাকে স্থায়ী কার্যালয় তৈরি ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে তথ্য-প্রযুক্তিগতভাবে তৃণমূল সংগঠনকে উন্নত করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কিন্তু কেন্দ্রীয় সংগঠনের এসব পদক্ষেপের অগ্রগতি কিছু জেলায় কম আর অনেক জেলায় একেবারেই কম। যেসব জেলা বা উপজেলায় সংগঠনের স্থায়ী কার্যালয় নেই তা তৈরি করা ব্যয় ও সময় সাপেক্ষ হলেও কম্পিউটার না থাকা ও প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত না হওয়ায় ই-মেইলের বদলে এখনো চিঠি বা মোবাইলে ফোন দিয়ে তৃণমূল সংগঠনকে নির্দেশনা জানাতে হচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ তৃণমূল পর্যায়কে ডিজিটাইজড করতে ল্যাপটপ দিলেও অনেক জায়গায় তা চালানোর মানুষ নেই এবং বেশিরভাগ জেলায় তা নেতাদের বাসায় প্যাকেট বন্দি রয়েছে বলে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে এসেছে।
এছাড়া দলে সভাপতি শেখ হাসিনার উপর নির্ভরশীলতা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। সাংগঠনিক সমস্যার সমাধানে কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রচেষ্টা ও সিদ্ধান্ত্ম না মেনে দলীয় প্রধান শেষ হাসিনার দ্বারস্ত্ম হচ্ছেন তৃণমূল নেতারা। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যেও নানামুখী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন সময়।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে সেলিনা হায়াত আইভী ও শামীম ওসমানের বিরোধ মেটাতে কেন্দ্র কয়েকবার বৈঠক করে কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় গণভবনে যান আইভী ও শামীম। এরপর প্রধানমন্ত্রী তাদের সমস্যার সমাধান করেন।
ঢাকা মহানগর উত্তরের থানা ও ওয়ার্ড কমিটি নিয়ে কয়েকটি থানার নেতারা শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ করলে তিনি সে কমিটি স্থগিত করে দেন।
কুমিলস্না সিটি নির্বাচনে আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার ও আজমল খানের দ্বন্দ্ব প্রভাব ফেলে নির্বাচনী মাঠে। আজমল কন্যা সীমা নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী মনিরম্নল হক সাক্কুর কাছে পরাজিত হন। এতে দ্বন্দ্ব মেটাতে কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যর্থতাই দলের পর্যালোচনায় উঠে এসেছে। চট্টগ্রামে সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও বর্তমান মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিনের দ্বন্দ্ব মেটাতে পারছে না দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। কয়েকবার বৈঠক করেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি।
দলের কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, সংগঠনকে গতিশীল করতে এবং আগামী নির্বাচনে ভালো অবস্থান তৈরি করতে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি সম্মেলন করা হচ্ছে। যেখানে কমিটি নেই কমিটি দেয়া হচ্ছে, কমিটি পূর্ণাঙ্গ না থাকলে পূর্ণাঙ্গ করা হচ্ছে এবং বিএনপি জামায়াতের কর্মীরা যাতে আওয়ামী লীগের কমিটিতে না আসতে পারে সেজন্য কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন যায়যায়দিনকে বলেন, দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তৃণমূলকে সংগঠিত করে আগামী নির্বাচনে জয় ছিনিয়ে আনব।
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ যায়যায়দিনকে বলেন, আগের চেয়ে দল অনেক বেশি গতিশীল হয়েছে। সকল দলেই কিছু সমস্যা থাকে তবে বাংলাদেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলের চাইতে আওয়ামী লীগে সমস্যা সবচেয়ে কম। যে সমস্যা আছে তা কাটিয়ে আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করব বলে বিশ্বাস করি।
কর্নেল (অব.) ফারম্নক খান বলেন, আগামীতে দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় আরও কঠোরতা অবলম্বন করা হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন