বছর ঘুরতেই দেশে জাতীয় নির্বাচন। এরই মধ্যে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। চলছে নানা বিচার-বিশ্লেষণ। দেশের বড় দুই দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ইতোমধ্যে বিভিন্ন আসনে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শুরু করে দিয়েছে। নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে; নির্বাচনে আদৌ সব দল অংশ নেবে কিনা, কিংবা ভোটের মাঠে সেনা মোতায়েন প্রশ্নে ইসির ভূমিকা কী হতে পারে এসব নিয়ে কথা বলেছেন সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ।এই রাজনীতিকের সঙ্গে আলাপে উঠে এসেছে চলমান রোহিঙ্গা সংকট ও এর সমাধানের নানা দিক।
সম্প্রতি ব্রেকিংনিউজ.কম.বিডি-এর নিজস্ব প্রতিবেদক ইমরান হোসাইন একান্ত সাক্ষৎকারে তুলে এনেছেন হাছান মাহমুদের ভাবনা ও মতামতগুলো।
ব্রেকিংনিউজ: বিভিন্ন সময় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হলেও সেটাতে কিছু কিছু ক্রটি পাওয়া গেছে। তবে এবারের নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে কতটা আগ্রহী আপনারা?
হাছান মাহমুদ: নির্বাচন ব্যবস্থা সারা পৃথিবীব্যাপী আধুনিকায়ন হচ্ছে। আমাদের দেশে এক সময় হাত তুলে ভোট হতো। সেটি জাতীয় নির্বাচন হউক অথবা স্থানীয়। তখন পিও অফিসে সকল মেম্বরদের ডাকা হতো। সেখানে সবাই হাত তুলত। মেম্বররা যাকে চেয়ারম্যান চান সেই ব্যক্তিই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতেন। সেই পদ্ধতি এখন আর নেই। পৃথিবীতে নতুন নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার হচ্ছে। পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য পৃথিবী প্রযুক্তিগতভাবে যত এগিয়ে যাচ্ছে বিএনপি প্রযুক্তিগতভাবে ঠিক ততটাই পিছিয়ে যাচ্ছে। বলা যায়, দুনিয়াটা ডিজিটাল বিএনপি একা একা এনালগ। এটার বড় উদাহরণ হচ্ছে, খালেদা জিয়া যখন প্রধানমন্ত্রী হন তখন সাবমেরিন ক্যাবল বিনা খরচে স্থাপন করে দেবার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে এ কথা বলে তিনি এটি গ্রহণ করেননি। পরবর্তীতে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে এটি আমাদের স্থাপন করতে হয়েছে। অথাৎ তাদের নেত্রী যেমন পশ্চাৎপদ তাদের দলটিও একইরকম। ডিজিটালাইজেশনের যুগে এটি আজ বড় দুঃখজনক বিএনপির জন্য।
ব্রেকিংনিউজ: নির্বাচনে সীমানা নির্ধারণের ব্যাপারে বিএনপি যে দাবি করেছে এ ব্যাপারে কিছু বলবেন কি?
হাছান মাহমুদ: সীমানা নির্ধারণের কাজ একটি দুরূহ ব্যাপার। সেখানে গণশুনানি করতে হয়। একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার ব্যাপার সীমানা পূর্ণবণ্টন। আগামী এক বছর পর দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার পর তো আর কোনও কাজ করা হয় না। সেজন্য নির্বাচনের আগে যে সময়টুকু হাতে আছে সেই সময়ের মধ্যে সীমানা নির্ধারণের কাজ শেষ করা কঠিন। এক প্রকার অসম্ভব। সেজন্যই আমার বলেছি এখন সীমানা নির্ধারণ করা বাস্তবিক অর্থে সম্ভব নয়। অনেকগুলো বিষয় থাকে এজন্য সেগুলো না দেখেই বিএনপি এ প্রস্তাব করেছে।
ব্রেকিংনিউজ: বিএনপির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সংলাপে সিইসি’র দেয়া বক্তব্যের বিষয়ে আপনাদের দলীয় মতামত কি?
হাছান মাহমুদ: এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাই না।
ব্রেকিংনিউজ: বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপ বয়কট করেছেন। আপনি কিভাবে দেখছেন বিষয়টি?
হাছান মাহমুদ: কাদের সিদ্দিকী দেশের একজন সিনিয়র রাজনীতিবিদ। এটি তার ব্যক্তিগত অভিমত।
ব্রেকিংনিউজ: একাদশ জাতীয় নির্বাচন কি আপনারা এককভাবে করবেন? না জোটগতভাবে?
হাছান মাহমুদ: আমাদের ১৪ দলীয় জোট আছে। আমরা সবশেষ দশম জাতীয় নির্বাচনও করেছি জোটগতভাবে। এবারও জোটগতভাবেই নির্বাচন করার সম্ভাবনা বেশি।
ব্রেকিংনিউজ: জোটে দলের সংখ্যা বাড়ানোর কোনও সম্ভাবনা দেখছেন কি?
হাছান মাহমুদ: আমাদের জোটের নাম ১৪ দলীয় মহাজোট। কিন্তু আপনি খেয়াল করে দেখবেন জোলে ১৪টিরও অনেক বেশি দল আছে। যেমন তরিকত ফেডারেশন ছিল না আগে। এখন তারা আছে। জোটের মধ্যে জাতীয় পার্টির মনজু ছিল না। সেটি যুক্ত হয়েছে। সুতরাং ১৪ দলীয় জোট বলা হলেও দলের সংখ্যা কিন্তু অনেক বেশি। সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি বিবেচনায় ভবিষ্যতেও জোটে সংখ্যা বাড়তে পারে।
ব্রেকিংনিউজ: ইসলামিক কোনও দলকে জোটে অন্তর্ভুক্ত করার কোনও ভবিষ্যত পরিকল্পনা আওয়ামী লীগের আছে কিনা?
হাছান মাহমুদ: যেসব ইসলামিক দল বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে কাজ করছে আমরা তাদের পক্ষে। ইসলামিক দল হলেই কিন্তু বাংলাদেশকে ইসলামিক রাষ্ট্র বানানোর কথা বলে না। যেসব ইসলামিক দল অসাম্প্রদায়িক তাদের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ আছে। তারা বিভিন্ন ইস্যুতে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। তারা আমাদের সঙ্গে কাজও করে যাচ্ছে অনেকক্ষেত্রে।
ব্রেকিংনিউজ: জাতীয় পার্টি (হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ) আপনাদের সাথে কি এবার জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে? আপনাদের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত থাকবে কি?
হাছান মাহমুদ: দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি আলাদাভাবে নির্বাচন করেছে। তারা আমাদের সঙ্গে নির্বাচন করেনি।
ব্রেকিংনিউজ: জোটে নির্বাচন করলে আপনার দলের আসন বিন্যাসটা প্রক্রিয়াটা কেমন হতে পারে?
হাছান মাহমুদ: সেটিতো যখন নির্বাচন হবে তখনকার বিষয়। একবছর আগে তো আর কেউ আসন বিন্যাস করে না। তবে যেখানে যার সম্ভাবনা বেশি মনে হবে মনোনয়নের ক্ষেত্রে সেই প্রার্থীই অগ্রাধিকার পেতে পারে। সেটিই তো হয়।
ব্রেকিংনিউজ: জোটের কোন দল কতটা আসন চাচ্ছে সে বিষয়ে তো আগেই আলোচনা হয়। আওয়ামী লীগ টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায়। এসব বিষয়ে আপনাদের কোনও আলোচনা হয়েছে কি?
হাছান মাহমুদ: আলোচনা একটু আগেভাগে হতে পারে। কিন্তু আসন বিন্যাস অনেক পরে হবে। আর কোনও পার্টি কতটা আসন চাচ্ছে তার ভিত্তিতে আসন বিন্যাস হয় না। কোন পার্টির কোথায় নির্বাচনে জয় লাভের সম্ভাবনা আছে সেটিই বিবেচ্য। কারণ নির্বাচনটাই তো জয়ের জন্য। সুতরাং কোথায় কারা জয়লাভ করতে পারবে সে অনুযায়ীই হবে আসন বিন্যাস।
ব্রেকিংনিউজ: দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মত বিএনপি যদি একাদশ জাতীয় নির্বাচনেও অংশগ্রহণ না করে তাহলে সরকারের করণীয় কী হবে? যদি বলেন...
হাছান মাহমুদ: একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি নিজেদের অস্থিতের স্বার্থেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে। তারা গতবারের মত নিশ্চয় এবার আত্মহত্যার পথ বেছে নেবে না। আর শেষ পর্যন্ত এবারও যদি বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে তাহলে আমি মনে করি সেটি তাদের দলের জন্য আত্মহত্যারই সামিল হবে। আমরা এখনও বিশ্বাস করি- অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থেই বিএনপি তাদের ভুল শুধরে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।
ব্রেকিংনিউজ: সাম্প্রতিক কথায় আসি। গেল দুই মাসে আমাদের মত ছোট দেশে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রায় ৬ লাখ রোহিঙ্গা এসেছে। এখন তাদেরকে নোয়াখালীর বিভিন্ন অঞ্চলে পুনর্বাসন করা হবে আমরা জানতে পেরেছি। তাদের পুনর্বাসনে কতদিন সময় লাগতে পারে?
হাছান মাহমুদ: বিষয়টি রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের নয়, তাদের আশ্রয় দেওয়ার। তাদের দেশ থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। এখন তাদেরকে আশ্রয় দেওয়া আমাদের মানবিক দায়িত্ব। বিশ্ব সম্প্রদায় এবং আমার চাই দ্রুত তারা নিজেদের দেশে ফিরে যাক। রোহিঙ্গারা এ যাত্রায় ৬ লাখ আসলেও আগ থেকে আরও প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা আমাদের দেশে আছে। সুতরাং এই মুহূর্তে রোহিঙ্গার সংখ্যা বাংলাদেশে ১০ লাখেরও বেশি। এই বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাদের আমাদের দেশে লালন পালন করা খুবই কঠিন। এটি অর্থনীতির উপর বিরাট চাপ সৃষ্টি করছে। করবে। রোহিঙ্গারা যেখানে রয়েছে সেখানে সামাজিক একটা বড় অস্থিরতার ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিবেশগত নানা সমস্যাও তৈরি হয়েছে। সুতরাং এসব বিবেচনায় তাদের সবাইকে ভাসান চরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। তবে তাদের অনেককেই সেখানে নেওয়া হবে। কারণ কক্সবাজারে স্থানীয় জনসংখ্যার চেয়ে রোহিঙ্গার সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। এটি যে কোনও সময় সামাজিক অস্থিরতার ব্যাপার হয়ে দাঁড়াতে পারে। রোহিঙ্গারা জ্বালানির জন্য কক্সবাজারের প্রায় অনেক সামাজিক বনায়ন ধ্বংস করে দিচ্ছে। রোহিঙ্গারা আসার ফলে কক্সবাজারের মানুষ অর্থনৈতিকভাবে সংকটে পড়ছে। এইসব বিষয় বিবেচনায় রোহিঙ্গাদের ভাসান চরে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ভাসান চরে নিরাপত্তাসহ সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ শেষেই রোহিঙ্গাদের সেখানে সরিয়ে নেওয়া হবে।
ব্রেকিংনিউজ: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীন-রাশিয়ার সমর্থন অর্জন করতে দলের পক্ষ থেকে কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে?
হাছান মাহমুদ: আমাদের কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যহত রয়েছে। আর চীন-রাশিয়াও ঠিক আগের অবস্থানে নেই। তারা অতীতের অবস্থান থেকে অনেকখানি সরে এসেছে। আমাদের কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে বিশ্বজনমত তৈরি হয়েছে। আমরা আশা করি, বিশ্বজনমত গড়ে তোলার মধ্য দিয়েই রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে পারব।
ব্রেকিংনিউজ: রোহিঙ্গা সমস্যা যদি দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় সমাধান হয় আর রোহিঙ্গারা যদি এভাবে বাংলাদেশে আসতেই থাকে তাহলে কতদিন বর্ডার উন্মুক্ত রাখবে সরকার?
হাছান মাহমুদ: আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশে মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। তাদের ওপর যে পাশবিক নিযাতন তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ বা সরকার তো দুয়ারটা বন্ধ করে দিতে পারে না। শুধুমাত্র মানবিক দৃষ্টিতে আমাদের বর্ডার খোলা রাখা হয়েছে। রোহিঙ্গারা যাতে আশ্রয় নিতে পারে। আর যে পরিমাণ রোহিঙ্গাকে রাখাইন থেকে বিতারিত করা হয়েছে সে অনুযায়ী মিয়ানমারে এখন ২ থেকে ৩ লাখের বেশি রোহিঙ্গা থাকার কথা নয়।
ব্রেকিংনিউজ: সরকার যদি রোহিঙ্গা সমস্যা ভালভাবে সমাধান করতে পারে সেক্ষেত্রে সামনের জাতীয় নির্বাচনে সেটি কতটুকু ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আপনি মনে করছেন?
হাছান মাহমুদ: নির্বাচনকে মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেননি। মানবিক দিকটি মাথায় রেখে মানবিক দায়িত্ব বোধ থেকেই তাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে, তাদের সহায়তা করা হচ্ছে। এটার সাথে নির্বাচনকে জড়ানো সমীচীন নয়।
ব্রেকিংনিউজ: প্রধান বিচারপতির দুই ধরনের চিঠির ব্যাপারে আপনাদের মতমত কি? আপনি ব্যক্তিগতভাবে কি মনে করেন?
হাছান মাহমুদ: এ বিষয়টি নিয়ে আমাদের আইনমন্ত্রী কথা বলেছেন। রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেলও কথা বলেছেন। সুপ্রিম কোর্ট বিবৃতি দিয়েছে। এর বাইরে আমার কোনও বক্তব্য নেই।
ব্রেকিংনিউজ: গুলশাল হামলার পর থেকে দেশের ধারাবাহিকভাবে জঙ্গি তৎপরতা অব্যাহত আছে। জঙ্গিবাদ চিরতরে নির্মূল করার ক্ষেত্রে কী ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে আপনার সরকারের?
হাছান মাহমুদ: জঙ্গিবাদ নির্মূল করার ক্ষেত্রে কয়েক ধরনের প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। প্রথমত এবং প্রধান প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে বিভিন্ন সময় যখন জঙ্গি নির্মূলে অভিযান চালানো হয় তখন বিএনপি এটি নিয়ে প্রশ্ন তোলে। বাংলাদেশে ধংসাত্মক রাজনীতি, জঙ্গিবাদের প্রবক্তা এবং আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা কিন্তু বিএনপি এবং বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট। সরকার যখন সমগ্র পৃথিবী থেকে বিশ্বনেতৃবৃন্দের কাছে প্রশংসিত হচ্ছে তখনও বিএনপি সরকারের প্রতি কোনও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে না। কিন্তু বিএনপি এ কার্যক্রমের প্রশংসা না করে উল্টো জঙ্গিবাদ নির্মূল করার ক্ষেত্রে একটি প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে রেখেছে। বিএনপির যে আচরণ বক্তব্য একইসঙ্গে তাদের যে জঙ্গি আশ্রয়ী রাজনৈতি সেটি দেশ থেকে জঙ্গিবাদ চিরতরে নির্মূল করার পথে একটি প্রধান প্রতিবন্ধকতা। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, জঙ্গী যারা হয়ে গেছে তাদেরকে নির্মূল করলে হবে না। নতুন করে জঙ্গি যাতে তৈরি না হয় সেটার জন্য একটি সামজিক আন্দোলন প্রয়োজন। এটির জন্য সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনির পক্ষ থেকে জোর প্রচারণা চালানো হচ্ছে। বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্কুল-কলেজে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। আমরা জঙ্গি নির্মূলে সফল হতে পারব তখনই যখন এ নিয়ে ব্যাপক সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব হবে। সেইসঙ্গে বিএনপির মত রাজনৈতিক দল জঙ্গিবাদকে আশ্রয় না দিয়ে যদি জঙ্গি নির্মূলে এগিয়ে আসে তবে কাজটি আরও সহজ হবে।
ব্রেকিংনিউজ: আপনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
হাছান মাহমুদ: আপনাকে ও ব্রেকিংনিউজ পরিবারকে ধন্যবাদ।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন