জোট শরিকদের সঙ্গে টানা প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়ে রাত পৌনে ১১টায় শেষ হয়।
বৈঠক শেষে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জোটের শীর্ষ কয়েকজন নেতা জানান, প্রথমত আগামী দিনের আন্দোলন ও নির্বাচনমুখী কর্মকাণ্ডে জোটের শরিকদের নিয়ে এক সঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন খালেদা জিয়া।
জোটের শরিকরাও খালেদা জিয়ার সঙ্গে কাজ করার আশ্বাস দিয়েছেন। যেকোনো মূল্যে জোটের ঐক্য রক্ষার করার বিষয়টি আলোচনায় বেশ গুরুত্ব পেয়েছে। বৈঠকে আটটি বিভাগীয় শহর ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জেলায় খালেদার সফর নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে।
এদিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাবেন না- এমন ঘোষণা দিলেও সংসদ ভেঙে দেয়ার দাবি উত্থাপন করেননি তিনি। আগামীতে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে এ বিষয়টাকে গুরুত্ব সহকারে সামনে নিয়ে আসা হবে।
বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতের আবদুল হালিম, জাতীয় পার্টি (জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, খেলাফতে মজলিশের মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক, বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির রেদোয়ান আহমেদ, ইসলামী ঐক্যজোটের এম এ রকিব, জাগপা সভাপতি রেহানা প্রধান, এনডিপির চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তুজা, এনপিপির সভাপতি ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ন্যাপ ভাসানীর সভাপতি জেবেল রহমান গানি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান, ন্যাপ ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, ইসলামিক পার্টির আবু তাহের চৌধুরী, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাছ, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, ডেমোক্রেটিক লীগের (ডিএল) সাইফুদ্দিন মনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন