নারায়ণগঞ্জ জেলার সাবেক আমীর ও বর্তমান মহানগর জামায়াত ইসলামের আমীর মাওলানা মাঈনুদ্দিন আহমেদসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে পুলিশের এসআই রাজু মণ্ডল বাদী হয়ে নাশকতামূলক ও ধ্বংসাত্মক কাজ করার প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা করার অপরাধ এনে মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় গ্রেফতার মাওলানা মাঈনুদ্দিন আহমেদসহ ১৩ জনকে শনিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। একইদিন নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল মহসিনের আদালতে শুনানি শেষে ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
.
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ আলী বিশ্বাস বলেন, আসামিদের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফতুল্লা মডেল থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।
রিমান্ডে নেওয়া গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলার সাবেক সভাপতি ও বর্তমান মহানগর জামায়াত ইসলামের সভাপতি মাওলানা মাইনুদ্দিন আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সাধারণ সম্পাদক আ. কাইয়ুম, সাইফুদ্দিন মনির, সাহাবুদ্দিন, বশিরুল হক, এসএম নাসির উদ্দিন, সাইদ তালুকদার, জাহাঙ্গীর দেওয়ান, জামাল উদ্দিন, কফিল উদ্দিন, জাকির হোসেন, জাকির হোসেন-২, শহিদ মিয়া।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি কামাল উদ্দিন জানান, মাওলানা মাঈনুদ্দিন আহমেদের হাজীগঞ্জের বাসায় নাশকতামূলক ও ধ্বংসাত্মক কাজ করার প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা করার সময় ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় ইকবাল আহাম্মেদ শ্যামল, কয়েস, সাব্বির, মজিবুর রহমান মিয়াজী, অ্যাডভোকেট মাইনুদ্দিন, আবু সাইদ মুন্না, আ. হাই, ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন, বশির উল্লাহ, আব্দুল্লাহ আল বাকী ও আব্দুল মালেকসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন।
ওসি আরো জানান, মাঈনুদ্দিন আহমেদের বাড়িটি হাজীগঞ্জ বড় মসজিদের পাশের গলির ভেতরে। স্থানীয়রা জানতো মাঈনুদ্দিন আহমেদ বৃদ্ধ হয়ে গেছে, তিনি আর রাজনীতি করেন না। বাড়িতে বসে মধু বিক্রি করেন। তার দরজায় কাগজে লিখা রয়েছে খাটি মধু ২৫০ টাকায় বিক্রি করা হয়। অনেকেই মধু কিনতে সকাল বিকেল তার বাড়িতে আসা যাওয়া করত। কিন্তু কারো ধারনা ছিল না তিনি বাড়ির ভেতরেই সরকার বিরোধী রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাতেন। ওই বাড়িতে শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়ে ১৩ জনকে গ্রেফতারসহ বিপুল পরিমানের জিহাদী বই, লিফলেট, সদস্য সংগ্রহের ফরম ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ব্যানার জব্দ করা হয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন