নাগরিক সমাবেশকে কেন্দ্র করে শনিবার শো-ডাউন করেছেন ঢাকা ও আশপাশের জেলার আওয়ামী লীগের এমপিরা। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীর আসার আগে আগে এমপিদের পোস্টার নিয়ে শোডাউন দিতে দেখা যায় তাদের কর্মী-সমর্থকদের। আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান মোল্লা এমপি, ইলিয়াস আলী মোল্লা এমপি, আসলামুল হক আসলাম এমপি, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এবং ঢাকার বাইরের এমপি গোলাম দস্তগীর গাজী, ডা. এনামুল হকসহ আরও বেশ কয়েকজন এমপি মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেন।
জয় বাংলা স্লোগানে মুখরিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যান : ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’। ব্যান্ডের তালের সাথে এগিয়ে চলেছে একটি মিছিল। এই মিছিলটি নেতৃত্বে আছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও ৩৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মান্নাফী। এই মিছিলে যোগ দেয়া সবার মুখে মুখে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান। কেউ লাল কেউ সবুজ আবার কেউবা নীল রংয়ের গেঞ্জি ও টুপি পরে এসেছেন। তাদের কেউ এসেছেন ঢাকার বাইরে থেকে আবার কেউবা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার। সবার গন্তব্য ঐতিহাসিক শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নাগরিক সমাবেশ। শনিবার দুপুর আড়াইটায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরুর আগে এভাবেই মুক্তিযোদ্ধা নাগরিক সমাবেশে অংশ নেয়।
এদিকে ‘মার্কা আছে, নৌকা, নৌকা’ স্লোগানে নাগরিক সমাবেশে যোগ দিচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কো কর্তৃক ‘ওয়ার্ল্ডস হেরিটেজ ডকুমেন্ট’ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় এই নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করেছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বেলা আড়াইটা থেকে শুরু হওয়া সমাবেশে বেলা ১২টা থেকে দলে দলে আসতে থাকে আওয়ামী লীগ, অঙ্গসংগঠন, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ঢাক-ঢোল, ব্যান্ড পার্টির বাদ্যে মুখরিত হয়ে ওঠে শাহবাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বর হয়ে জাতীয় চার নেতার মাজার প্রাঙ্গণ সংলগ্ন এলাকা। বাদ্যযন্ত্রের পাশাপাশি স্লোগান ধরেন নাগরিক সমাবেশে আগতরা। ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ কে বলে রে মুজিব নাই, মুজিব সারা বাংলায়’ ইত্যাদি স্লোগানের পাশাপাশি নির্বাচনী ছাপও ফুটে ওঠে।
সমাবেশে ভাড়ায় শিশু-কিশোররাও : সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে মাথাভারি করতে শিশু-কিশোরদেরও আনা হয়েছে। কেন এসেছে তা জানে না তারা। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নাগরিক সমাবেশে ১৩-১৪ বছরের রফিকসহ ৩০ কিশোরও এসেছে যোগ দিতে।
সমাবেশে আসার কারণ জানতে চাইলে তারা জানায়, সবাই মুসলিম সুইটস কারখানার শ্রমিক। আগারগাঁও বস্তিতে কয়েকজনের বাসা; বাকিরা কারখানার ভিতরেই ঘুমায়। কারখানার মালিক তাঁতী লীগের নেতা একজন নেতা তাদের সমাবেশে নিয়ে এসেছেন। রফিক নামে একজন জানায়, মালিক কইছে আইতে, তাই আইছি। কইছে এহানে আইলে খাওয়াইবো, আজকের মজুরির লগে বাড়তি টেকাও দিব। হের লইগা আইছি। না আইলে চাকরি থাকবো না।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন