প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাকে নিয়ে আইনমন্ত্রী যেভাবে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটি শপথ ভঙ্গের শামিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বরচন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, বিচার বিভাগকে যদি ডিসি, এসপিদের মতো সরকারকে সন্তুষ্ট করতে হয়, তাহলে জনগণের ন্যায়বিচার পাওয়ার জায়গা থাকে না।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় যশোরের একটি হোটেলে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বরচন্দ্র রায় বলেন, আমি সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরুতে বিশ্বাস করি না। সংবিধান অনুযায়ী দেশের সব জনগণ সমান। সব জনগোষ্ঠীর ভালোভাবে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। দেশের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সকরারের দায়িত্ব। কিন্তু সরকার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ।
তিনি বলেন, বিএনপির জন্ম বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। বিএনপি অগণতান্ত্রিক, বিতর্কিত নির্বাচনে কখনও অংশগ্রহণ করেনি। ভবিষ্যতেও বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ না করা পর্যন্ত ভোটের পথে হাঁটবে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ৯৬’র ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তোলেন। কিন্তু সেই নির্বাচন ছিল জনগণের দাবি পূরণের জন্য। সংসদে জনগণের দাবি উপস্থাপন করা হয়েছিল। সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইন পাস হওয়ার পর বিএনপি পদত্যাগ করেছিল।
তিনি বলেন, ওই সময় আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দলের দাবি পূরণে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইন পাস করা হয়েছিল। সেই দাবি আমরা পুনরায় করছি। দাবি পূরণ করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করলে জনগণ ভোট দেয়ার সুযোগ পাবে।
গয়েশ্বরচন্দ্র রায় বলেন, জনগণ বলছে- সুষ্ঠু ভোটের ব্যবস্থা করো, বাকি কাজ আমরা করব। জনগণ ভোট দিতে না গেলে সে ব্যর্থতা সরকারের ওপর বর্তায়।
৫ জানুয়ারি নির্বাচন জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে জনগণ আবারও প্রত্যাখ্যান করবে।
মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) আবদুস সালাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও জয়ন্ত কুণ্ডু, সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামসুল হুদা, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন