বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, বিএনপিতে অমুক বা তমুকের নামে গ্রুপিং হচ্ছে। এসব চলতে থাকলে দল দুর্বল হয়ে যাবে। তিনি দলের মধ্যে আর কোনো বিভেদ তৈরি না করে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাংগঠনিক ভিত মজবুত করার আহ্বান জানান।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি আয়োজিত দলের প্রয়াত পাঁচ নেতার স্মরণসভায় নোমান এ কথা বলেন। চট্টগ্রামে বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবন চত্বরে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। যাঁদের স্মরণে এই আয়োজন তাঁরা হলেন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির নেতা এ কে এম বজলুল করিম, নুরুল আফছার চৌধুরী, এহসানুল হক, কাজী মোহাম্মদ মুসা ও আলী আহমেদ।
বিএনপি নেতা নোমান বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত সাংগঠনিক সক্ষমতা অর্জন না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো আন্দোলন সফল হবে না।আওয়ামী লীগ সরকার কোনো আইন মানছে না মন্তব্য করে আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, আইন বহির্ভূতভাবে বিএনপি নেতা-কর্মীদের জেলে ঢোকানো হচ্ছে। এখন দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানোর চক্রান্ত করছে সরকার। তিনি অভিযোগ করেন, চট্টগ্রাম বন্দরে লুটপাটের মহোৎসব চলছে। আওয়ামী লীগের নেতারা সেখানে লুটপাট চালাচ্ছেন। বন্দরের তহবিল তাঁদের পকেটে চলে যাচ্ছে।
স্মরণসভায় মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন বলেন, আগামী নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে। কারণ বিএনপি নির্বাচনের মাধ্যমে সব সময় ক্ষমতায় এসেছে। এই দলটি দেশের মাটি ও মানুষের দল। আর আওয়ামী লীগ ভারতের দালাল। বিদেশি শক্তির দালালদের আগামী নির্বাচনে বিতাড়িত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তাই নির্বাচনের আগে বিএনপির প্রতিটি নেতা-কর্মীকে এলাকায় যেতে হবে। মানুষের সঙ্গে মিশতে হবে।
সাবেক রাষ্ট্রদূত গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু বন্ধু দেশ ভারত, চীন ও রাশিয়া আমাদের পাশে নেই। তাহলে এই তিন দেশের সঙ্গে আমাদের কিসের বন্ধুত্ব?’
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এম এ হালিমের সভাপতিত্বে এই স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন