রাজশাহীর তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের তালন্দ চৌবাড়িয়া রাস্তার দুই পাশের গাছ রাতের আঁধারে কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যাঁরা এটা করছে, তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরাও রয়েছে।
এ নিয়ে এলাকাবাসী তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগও করেছে। অভিযোগ পেয়ে ইউএনও তানোর বরেন্দ্র কার্যালয়ের কর্মকর্তাকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন। তবে গাছ কাটা বন্ধ হয়নি এখনো।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এক সপ্তহ ধরে তানোর-চৌবাড়িয়া রাস্তার পাশের ৫০-৬০ বছরের পুরনো বড় বড় মেহগনি ও শিশুগাছ কেটে নিচ্ছেন এলাকার সরকারদলীয় স্থানীয় কিছু নেতা। এ ছাড়া কামারগাঁ ইউনিয়নের বাঘের মোড় থেকে মালার মোড় পর্যন্ত রাস্তার দুই ধারের মেহগনি ও শিশুগাছ কেটে নিয়ে গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মালার মোড় এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি বলেন, সরকারি দলের স্থানীয় নেতারা এসব গাছ কাটার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। নাম বললে তাঁদের বিপদ হবে। স্থানীয় এসব বাসিন্দার দাবি, বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ জেনেশুনেও ওই সব ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না। বরেন্দ্র কার্যালয়ের লোকজনও এর সঙ্গে জড়িত আছে বলে তাঁদের দাবি।
তাঁরা বলেন, গাছ কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো লিখিত অভিযোগ দিতে গেলে উল্টো তারা তাঁদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে। তাই কোনো অভিযোগ করেন না তাঁরা।
কামারগাঁ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মোসলেম উদ্দীন বলেন, 'রাস্তার পাশের গাছ কাটার ব্যাপারে আমি শুনেছি। বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বিএমডিএ (বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) ও থানায় জানিয়েছি। ' সরকারি দলের লোকজন এ ধরনের কাজ করতে পারে না বলে দাবি করেন তিনি।
কামারগাঁ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলে রাব্বী ফরহাদ বলেন, 'গাছ কেউ না কেউ কাটছে। তবে কারা কাটছে বলতে পারব না। যারাই কাটুক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। '
তানোর বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম বলেন, 'ইউএনও সাহেব বিষয়টি দেখার জন্য বলেছেন; কিন্তু আমি অসুস্থ থাকায় রাস্তায় যেতে পারিনি। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব। '
তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শওকাত আলী বলেন, 'রাস্তার গাছ কাটার বিষয়টি স্থানীয়রা জানিয়েছে। বিষয়টি দেখে তদন্ত করার জন্য বরেন্দ্র অফিসের কর্মকর্তাকে বলেছি। কিন্তু এখনো গাছ কাটা বন্ধ হয়নি বলেও শুনছি। '
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন