ফরহাদ মজহারকে অপহরণের পর সীমান্তের ওপারে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছিলো বলে জানিয়েছেন তিনি। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর শ্যামলীর বাস ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
অপহরণ মামলায় পুলিশের দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে ফরহাদ মজহার ও তাঁর স্ত্রী ফরিদা আখতারের বিরুদ্ধে মামলা করতে আদালত অনুমতি দেয়ার পর এই সংবাদ সম্মেলনে এলেন তারা।
গত ৩ জুলাই ভোরে বাসার কাছ থেকে অপহরণের হওয়ার অভিযোগ ও এর ১৮ ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া এরপর অপহরণ মামলায় পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়ার পরও গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি ফরহাদ মজহার।
পুলিশ বলছে ফরহাদ মজহার অপহরণ হননি, তিনি স্বেচ্ছায় খুলনা গিয়েছিলেন।
আদালত সূত্র জানা যায়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক মাহবুবুল ইসলাম মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন সম্প্রতি ঢাকার মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা দেন। এতে বলা হয়েছে, ফরহাদ মজহার অপহরণের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলা করায় দণ্ডবিধির ২১১ ও ১০৯ ধারায় মামলার বাদী ও ফরহাদ মজহারের স্ত্রী ফরিদা আখতার এবং ভুক্তভোগী ফরহাদ মজহারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন দাখিলের আবেদন করা হয়।
ফরহাদ মজহারের পরিবারের সদস্যদের ভাষ্য, গত ৩ জুলাই ভোর পাঁচটার দিকে শ্যামলীর হক গার্ডেনের বাসা থেকে বের হন ফরহাদ মজহার। ভবনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ভোর ৫টা ৫ মিনিটে ফরহাদ মজহার খুব স্বাভাবিক ভঙ্গিতে সিঁড়ি ভেঙে নিচে নামেন। ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে ফরহাদ মজহার স্ত্রী ফরিদা আখতারকে ফোন করে বলেন, ‘ওরা আমাকে নিয়ে যাচ্ছে। ওরা আমাকে মেরে ফেলবে।’ এ ঘটনায় রাজধানীর আদাবর থানায় ফরহাদ মজহারের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা করেন।
সেদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে যশোরের অভয়নগর এলাকায় খুলনা থেকে ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের একটি বাস থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর প্রথমে ফরহাদ মজহারকে খুলনায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে সেখান থেকে সকাল পৌনে নয়টার দিকে তাঁকে ঢাকার আদাবর থানায় আনা হয়। এরপর নিয়ে যাওয়া হয় মিন্টো রোডে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে, সেখান থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। ভিকটিম হিসেবে সেদিন তিনি আদালতে জবানবন্দি দেন। পরে তাঁকে নিজের জিম্মায় দেন আদালত।
ভিডিও ......click here
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন