মাত্র ২ লাখ টাকার বিনিময়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির একজন শীর্ষ নেতার নাম ভাঙিয়ে পদ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এহেসানুল ইসলাম রিমনের বিরুদ্ধে। নবগঠিত মনোহরদী উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠনে এ টাকার লেনদেন হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
পূর্বপশ্চিমবিডি.নিউজের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রিমনের আরো কয়েকটি কেলেংকারির বিষয়। টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসাসহ সংগঠনের মধ্যে গ্রুপিং তৈরি করার মতো অভিযোগও রয়েছে রিমনের বিরুদ্ধে।
নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, গত ১৮ ডিসেম্বর মনোহরদী উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের আগের দিন উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হওয়া মামুনুর ইসলাম নাঈম রিমনকে ২ লাখ টাকা ক্যাশ বুঝিয়ে দেন। এরপর দিনই তিনি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। উল্লেখ্য, মনোহরদী উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন সাধারণ সম্পাদকের ছাত্রত্ব ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়র এমবিএ’র ছাত্র। কিন্তু তিনি রাজনীতি করেন মনোহরদীতে। শেষ হয়েছে কয়েক বছর আগে। বর্তমানে তিনি একজন ঠিকাদার হিসাবেই নিজ এলাকায় পরিচিত।
টাকা গ্রহণকারী নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এহসানুল ইসলাম রিমনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি কারো কাছ থেকে কোনো টাকা নেইনি। কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে কোনো কাজে ১০ টাকা নিয়েছি তাহলে সঙ্গে সঙ্গে পদত্যাগ করবো।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেনের সঙ্গে সন্ধ্যায় যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি একটু সংসদে আছি। বের হয়ে কথা বলছি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন