পূর্ব পুরুষ স্বাধীনতাবিরোধী ছিলেন, এমন যুক্তি দেখিয়ে জয়পুরহাট আওয়ামী লীগের তিন নেতা-কর্মীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর তাদের সমর্থকরা এই সিদ্ধান্তকে অগণতান্ত্রিক দাবি করে সংসদ সদস্য ও জেলা সভাপতি সামছুল আলম দুদু এবং সাধারণ সম্পাদক এসএম সোলায়মান আলমকে জেলায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন।
দুই নেতার বিরুদ্ধে ঝাড়– মিছিল বের করে দুই নেতার কুশপুতুলও পুড়িয়ে দেন নেতা কর্মীরা।
রবিবার সন্ধ্যায় জয়পুরহাট ও কালাই শহরে আলাদা বিক্ষোভ হয় দুই নেতার বিরুদ্ধে।
শহরেই হয় দুটি বিক্ষোভ। জেলা শহরে মিছিল শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেন নেতাকর্মীদের একাংশ। সমাবেশ হয় জিরো পয়েন্টেও। এতে বক্তব্য রাখেন- জয়পুরহাট পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, আক্কেলপুরের পৌর মেয়র গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি এ ই এম মাসুদ রেজা প্রমুখ।
কালাই উপজেলা শহরে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র হালিমুল আলম জন, আহম্মেদাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহম্মেদ প্রমুখ।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের হয়ে মনোনয়ন চাওয়ার প্রস্তুতি নেয়ায় এই বহিষ্কার করা হয়েছে। আর এ জন্য অন্যায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা ২৪ ঘন্টার মধ্যে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ আনেন। দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর কর্মসূচিরও ঘোষণা দেয়া হয়।
গত শনিবার জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞপ্তিতে তিন নেতা-কর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করার কথা জানানো হয়। এদের মধ্যে আছেন জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক ও কালাই উপজেলা চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন, সদস্য ও পুনট ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস, মাত্রাই ইউপি চেয়ারম্যান লজিক তালুকদার।
বহিষ্কারের কারণ হিসেবে বলা হয়, এদের স্বজন স্বাধীনতাবিরোধী ছিলেন। তাই তাদের জায়গা আওয়ামী লীগে হবে না।
পূর্বপুরুষরা স্বাধীনতাবিরোধী ছিলেন কি না-জানতে চাইলে বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক মিনফুজুর রহমান প্রশ্ন এড়িয়ে বলেন, ‘সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আমাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে এখন দলের নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ।’
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম সোলায়মান আলী ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল ও শান্তি কমিটি কিংবা রাজাককারের কোনো বংশধর আওয়ামী লীগে থাকতে পারবে না। তারা নৌকা প্রতীক পাবে না। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বহিষ্কৃতদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
‘বহিষ্কারাদেশটি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় কমিটিতে অনুমোদনের জন্য অবহিত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে যা করার কেন্দ্রীয় কমিটিই করবে।’
ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন