ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি উপমহাদেশের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু প্রণব মুখার্জির ঢাকায় আগমন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনে চার বছর পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণ এখন সকল মহলে আলোচিত। ভারতের তৃণমূল রাজনীতি থেকে উঠে আসা এককালের কংগ্রেসের দাপুটে নেতা প্রণব মুখার্জি শুধু সে দেশের একজন সাবেক সফল অর্থ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীই নন, সর্বজন শ্রদ্ধেয় বিদায়ী রাষ্ট্রপতিই নন, একজন ইতিহাসের জীবন্ত এনসেকলোপিটিয়া। উপমহাদেশের উথাল-পাতাল রাজনীতির কয়েক দশকের সরব স্বাক্ষীই নন, ভারতের রাজনীতির অন্ধরে-বাহিরে সক্রিয় ভূমিকা রাখা একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিক।
রাষ্ট্রপতি থাকাকালে অনেকবার তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছে। মন্ত্রমুগ্ধের মতো তাঁর গল্প শুনে অভিভূত হয়ে ফিরেছি। প্রতিবার একঘণ্টা সময় খুব দ্রুত চলে গেছে। এত পড়াশোনা জানা রাজনীতিবিদ উপমহাদেশে দ্বিতীয় কেউ আছেন কি না আমার জানা নেই। যতবার দেখা,হাতের কাছে নতুন নতুন বই দেখেছি। রাষ্ট্রপতি ভবনে এসে অখ- অবসরে বইয়ে ডুবেছেন তিনি। বই পড়ে তাঁর আত্মস্ত করা এবং জ্ঞানের গভীরতায় তাঁর বিশ্লেষণ অনন্য অসাধারণ। শিল্প-সাহিত্য, রাজনীতি, ইতিহাস, অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এমন কোনো শাখা-প্রশাখা নেই, যার উপর তাঁর ব্যাপক পড়াশোনা নেই। পৃথিবীতে জ্ঞান অহরণের জন্য বইয়ের বিকল্প এখনো যে কোনো কিছু আবিষ্কার হয়নি, প্রণব মুখার্জির মতো গুনী মানুষের সঙ্গে দেখা হলে নতুন করেউপলব্ধি করা যায়।
মহাকাব্যের যুগ থেকে পথ হাঁটা রাজনীতিবিদরা ব্যাপক পড়াশোনা করতেন। মানুষের কল্যাণে জ্ঞানের গভীরতা নিয়ে নিজেদের জীবনকে উৎসর্গ করতেন। সাদাকালো সেই যুগে মানুষ প্রণব মুখার্জিও মানবতার ধর্ম ও মানুষের কল্যাণকে বড় করেই রাজনীতি করেছেন। রাষ্ট্রপতির দায়িত্বভার ছেড়ে দেওয়ার মুহূর্তে তাঁর লেখা বই উপমহাদেশের রাজনীতির ঘটনাবহুল বিষয়গুলো তুলে এনেছে। এখনো অখ- অবসরে প্রচুর পড়াশোনা করছেন। আরও লেখালেখির প্রস্তুতিও চলছে। যতবার দেখা ততবার বাংলাদেশের মানুষকে তাঁর ভালবাসা হৃদয় থেকে জানাতে ভুল করেননি। তেমনি ভারত ও বাংলাদেশের মৈত্রী বা বন্ধুত্বের বন্ধনকে সুদৃঢ়ও দেখতে চেয়েছেন। বরাবর মনে হয়েছে, এই দেখার মধ্যে বাংলাদেশের মানুষের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ এবং জনগণের আবেগ-অনুভূতিকে ধারণ ও লালন করতে তিনি ভুল করেননি।
ঢাকা সফরকালে আমাদের স্বাধীনতা-সংগ্রামে ঐতিহাসিক ঠিকানা বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শন বইতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সর্বকালের সাহসী নেতা হিসেবে উল্লেখ করেস্যালুট জানিয়েছেন। লিখেছেন, ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে পুনরায় ভ্রমণ করার সুযোগ পেয়ে তিনি গর্বিত। স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষকে এই বাড়ি থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন শেখ মুজিব। যাঁকে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে এখানেই ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে হত্যা করা হয়।
তিনি আরো লিখেছেন, এই বাড়িটি একটি নতুন জাতির জন্ম ও এগিয়ে চলার ইতিহাসের স্বাক্ষী। তিনি সেই কালো রাতের শহীদদের প্রতি সম্মানজনক শ্রদ্ধা জানান। তাঁর সঙ্গে বিভিন্ন সময় আলাপকালে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সঙ্গে তাঁর পারিবারিক হৃদ্যতার কথা বলতে ভোলেননি। তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশে তাঁর দুটি ভাই-বোন রয়েছেন। একজন শেখ হাসিনা আরেকজন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম, যাকে তিনি বাঘা বলেই সম্বোধন করেন। ৮৬ সালে বাঘা সিদ্দিকী তাঁকে নির্বাচানী প্রচারণায় যে পানির জার উপহার দিয়েছেন, সেটি তিনি এখনো তুলে রেখেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তাঁকে নিয়মিত বই উপহার দেন। সেই বইগুলি তিনি গভীরভাবে পাঠ করেন। তাঁর পড়াশোনা থেকে কবিতা-উপন্যাসও বাদ যায় না বলে, তিনি ঢাকা সফরকালে বলেছেন, “ইতিহাস সৃষ্টি করেন সংবেদনশীল লেখক-সাহিত্যিক, শিল্পী, ¯্রষ্টা। রাজা-মহারাজা নয়। অন্যদের পরীক্ষায় পাশ করার জন্য মুখস্থ করতে হয়, পরীক্ষা হয়ে গেলে ভুলে যায়। কিন্তু শিল্পীর ছবি, একজনের লেখা, তাঁর কবিতা, নিজের লেখা উপন্যাস কখনো ভুলে যায় না।”তিনি শিল্পী-সাহিত্যিক-লেখকদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে বলেছেন।
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাংলা সাহিত্য সম্মেলনে শিল্প-সাহিত্যিক-লেখকরা অঙ্গীকার করেছেন,“পৃথিবীর এই চেহারা পরিবর্তন করতে হবে, যে পৃথিবীতে মানুষ হিংস্রতার শিকার হচ্ছে কেনো কারণ ছাড়া। তিনি বলেন, গত এক দশকে যে সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ হয়েছে, তাঁর কারণ কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। তারা কি চান বোঝা যায় না। নিরীহ মানুষ প্রিয়জনের কাছে যাচ্ছেন সেটা লিভিং বোম হয়ে গেলো, কত মানুষের প্রাণ গেলো। এই যে হিংস্রতা সেখানে মানুষ কিভাবে বাঁচবে? শুধু পরিবেশ দূষণের চেয়ে বড় দূষণ চিন্তা-ভাবনা, কাজে। সেই দূষণের হাত থেকে বাঁচানোর দায়িত্ব আন্তর্জাতিক সম্মেলন থেকে হবে না। জাতিসংঘ করতে পারবে না। করতে পারবে যারা শিল্পী, সাহিত্যিক, স্রষ্টা ও লেখক।”
তিনি ভাষা শহীদদের কাছেও দায়বদ্ধতার কথা জানিয়ে দেন। ভাষা শহীদদের প্রণাম জানিয়ে বলেছেন, “আমাদের এই ঐতিহ্য হাজার বছরের ভাষাকে তাঁরা রক্ষা করেছেন। লুট হয়ে যেতে দেননি। আগাসনদের কাছে ধ্বংস হতে দেননি।” এক কথায়, মোটা দাগে তাঁর বক্তব্যর নির্যাস তুলে এনে বলা যায়, তিনি অকপটে বলেছেন, লেখক-সাহিত্যিকরাই ইতিহাসের স্রষ্টা। বীররা নয়। মানুষ হত্যার মতো সন্ত্রাসবাদ কখনো গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। মানবতার লড়াইয়ে মানুষের বাঁচার অধিকার সবার আগে। ধর্মের নামে, রাজনীতির নামে মানুষ হত্যা আজকের পৃথিবীতে বড় ধরনের দূষণ। এটা মনস্তাত্ত্বিক বিকৃতির প্রতিফলন।
প্রণব মুখার্জি বঙ্গবন্ধুর প্রতি যে সম্মান-শ্রদ্ধা ও স্বীকিতি দেখিয়েছেন এটি কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়, গোটা জাতির জন্য গৌরবের। বঙ্গবন্ধুই আমাদের সেই মহত্তম নেতা, যিনি গোটা জাতিকে নিজের জীবন-যৌবন উৎসর্গকরে ঐক্যবদ্ধ জাতিতে পরিণত করেছিলেন। তাঁর ডাকে স্বাধিকার-স্বাধীনতার সংগ্রামে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যূদয় ঘটেছিল। আর সেই একটি স্বাধীন দেশের সুমহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের গণতন্ত্রের মহান নেত্রী শ্রীমতি ইন্ধিরা গান্ধী ও ভারতবাসীর অবদান আমাদের জন্য কখনো ভুলবার নয়। ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব ঐতিহাসিক ও রক্তে লেখা। এই বন্ধুত্ব মুছে যাওয়ার নয়। আমাদের দাবি-দাওয়া, আমাদের পাওনা কূটনৈতিক লড়াইয়ের মধ্যে বন্ধুত্বের দাবিতে আদায় করা অপরিহার্য। কিন্তু এই বন্ধুত্বের উৎস মুখ কেবল সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যই নয়, সুমহান মুক্তিযুদ্ধে বন্ধুত্বের অগ্নিপরীক্ষা।
সরকারের চার বছর পূর্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে পরিস্কার বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী এ বছরের শেষ দিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের আগে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে। নির্বাচন বয়কট করে জানমালের ক্ষতি করলে জনগণ মেনে নেবে না।
বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, “আগামী সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন, তা খুবই অস্পষ্ট, ধোঁয়াশাপূর্ণ এবং বিভ্রান্তিকর। তাঁর ভাষণ জাতিকে হতাশ, বিস্ময়-বিমূঢ ও উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।” তিনি বলেন, একটি আন্তরিক ও হৃদ্যতার সংলাপের মাধ্যমে আগামী নির্বাচন সম্পর্কে অর্থবহ সমাধানে আসা সম্ভব। নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা কেমন হতে পারে তা নিয়ে আমাদেরদলের একটি চিন্তা-ভাবনা আছে।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষনের পর আওয়ামী লীগের প্রবীন রাজনীতিবিদ ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারই হবে নির্বাচনকালীন সরকার। অন্যকিছু না। অন্য দল থেকে লোক নিয়ে সরকার গঠন করতে হবে। এমন কথা প্রধানমন্ত্রী বলেননি। বর্তমান সরকার হবে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার; যারা শুধু দৈনন্দিন কাজগুলো করবে। বিএনপি যতই প্রধনমন্ত্রীর বক্তব্যকে অস্পষ্ট বলুক না কেন, নির্বাচন কমিশন যতই বলুক পরিস্কার নয়, সংবিধান থেকে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা মুছে যাওয়ার পর এ সত্যই উদ্বাসিত হয়েছে যে, নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারই নির্বাচনকালীন রুটিন ওয়ার্ক সরকার হিসেবে গঠিত হবে।
সেই ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের রোল মডেলও আমাদের সামনে রয়েছে। সেখানে অনেক মন্ত্রী যেমন ঝরে পড়েছিলেন, তেমনি সরকারি দলের অনেক নেতা ঠাঁই পেয়েছিলেন। সেই সরকারের কাজ ছিল রুটিন ওয়ার্ক। একই সঙ্গে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন নির্বাচনে অন্তর্বর্তী সরকারে জোট-শরিক নেতাদের মন্ত্রীদের ও উপদেষ্টা করা হয়েছিল। অন্য দিকে সেই সংসদে বিরোধী দল বিএনপিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি মন্ত্রণালয় গ্রহণের প্রস্তাব করা হয়েছিল। আলোচনার দরজা খুলে শেখ হাসিনা বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণও জানিয়েছিলেন। কিন্তু বিএনপি নির্দলীয় তত্ত্বাবাধঅয়ক সরকারের দাবিতে অনড় থাকেনি, আলোচনা বয়কটই করেনি, নির্বাচন বর্জন ও প্রতিহত করার সহিংস কর্মসূচিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দেড় শতাধিক আসনে প্রার্থীদের জয়ী করে একটি একতরফা প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন আওয়ামী লীগ হজমই করেনি; হরতাল-অবরোধ সহিংস পেট্রোল বোমার রাজনীতিতে পথ হাঁটা বিএনপিকে ধমন-পীড়নে দমিয়ে নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে চার বছর অতিক্রম করে নির্বাচনের পথে হাঁটছে। এই অবস্থায় আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে সংবিধান অনুযায়ী সংসদ যেমন বহাল থাকবে, তেমনি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হবে।
বিএনপির সংসদ ভেঙে দেওয়া ও নির্দলীয় সহায়ক সরকার গঠনের দাবি নাকচ করে সরকার যে পথ নিয়েছে, সেখানে বিএনপি কোন পথ নেবে নির্বাচনী রজানীতির বল কোন পথে নিয়ে যাবে দেশকে, সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বিএনপির সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব যেমন নাকচ করেছেন। সংবিধানে বাইরে বিএনপির দাবি গ্রহণের প্রস্তাব নাকচ করেছেন, তেমনি বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াও বলেছেন, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। এমনি পরস্থিতিতে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি যার যার অবস্থানে অনড় থেকে বিপরীত মেরুতেই অবস্থান করছে। সরকার যেখানে বিএনপিকে কোনো ছাড় দিতে নারাজ। সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিএনপি আসলো কি আসলো না সেটি দেখতে রাজি নয়। সেখানে পরিস্থিতি কোথায় দাঁড়াবে সেটি বলার সময় এখনে আসেনি। বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরপানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামালার রায় আগামীতে ঘোষিত হতে যাচ্ছে। এই রায় বিএনপিকে কোন পথে নিয়ে যাবে সেটি এখনো বলা যাচ্ছে না।
তবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এর আগে পরিস্কার বলেছেন, “যত চেষ্টাই করুন, আমাদের বাদ দিয়ে নির্বাচন করতে পারবেন না।” অর্থ্যাৎ বেগম খালেদা জিয়া তাঁর অবস্থানে অনড়ই থাকেনি তাদের অগ্রাহ্য করে, তাদের বাদ দিয়ে নির্বাচন করলে যে বর্জন বা প্রতিরোধ করতে যাবেন, সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছেন। যদিও অনেকে বলছেন, বিএনপি এবার নির্বাচনে আসবে। সেখানে বেগম খালেদা জিয়ার আপসহীন নেত্রীর ইমেজ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীও পরিস্কার বলেছেন, নির্বাচন বয়কট করে জানমালের ক্ষতি করলে জনগণ মেনে নেবে না। তারমানে নির্বাচন বর্জন ও প্রতিরোধের আন্দোলনে গেলে সরকার কঠোর হস্তে দমন করে ভোটযুদ্ধের হাঁটবে। উভয় পক্ষের এই বার্তা মানুষের সামনে আবার রাজনৈতিক অনশ্চিয়তার আভাস ফুটিয়ে তুলেছে। নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক সংঘাত-সহিংসতা আশঙ্কার জন্ম দিয়েছে। শেষ কথা বলবার মতো সময় এখনো আসেনি। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, প্রধান দুই দল যার যার অবস্থানে অনড়। যার যার অবস্থান থেকে দৃঢ় মনোবল নিয়ে পথ হাঁটছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। এই পরিস্থিতিতে কোন পথে হাঁটছে বাংলাদেশ। সংঘাতের রাজনীতি না সকল অংশগ্রহণে উৎসবের ভোট? এই প্রশ্ন আবার নতুন করে দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে কোন পথে হাঁটছে ভোটরাজনীতি?
লেখক: প্রধান সম্পাদক, পূর্বপশ্চিমবিডি.নিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন