কদরুদ্দিন শিশির
কোনো জামাই শ্বশুর বাড়ি গেলে সেখানকার সিনিয়রদেরকে (শ্বশুর-শাশুড়ি, স্ত্রীর বড় ভাই-বোন এবং এমন সম্পর্কের অন্যরা) পা ছুঁয়ে সালাম করতে করতে জান বাইর হইয়া যাওয়ার দশা হয়।
এ ছবিতে দেখছি পুরা উল্টা! উইকিপিডিয়া অনুসারে, প্রণবের বয়স ৮২। তার স্ত্রী শুভ্রা মুখার্জি বেঁচে থাকলে এখন বয়স হতো ৭৭।
এরশাদের বয়স ৮৭ এবং আবুল মাল আব্দুল মুহিতের বয়স ৮৩। প্রণব জামাই হয়ে থাকলে, বাংলাদেশ তার শ্বশুর বাড়ি হয়ে থাকলে (এবং বাস্তবে এসব কারণের কথা বলেই তাকে এখানে এত কেয়ারিং/গুরুত্ব দেয়া হয়, হচ্ছে) তার স্ত্রীর চেয়ে বয়সে যথাক্রমে ১০ ও ৬ বছরের বড় এরশাদ ও আবুল মাল প্রণবের সম্মন্ধি (উচ্চারণ কি ঠিক আছে?) হন।
জামাই বসে আছেন চেয়ারে। তাকে ঘিরে শালারা না হয় দাঁড়িয়েই থাকলেন। কিন্তু সম্মন্ধি’দেরকে দাঁড় করিয়ে রেখে বসলেন কেমনে প্রণব?
এ কেমন জামাই? এ কেমন শ্বশুরবাড়ি?!
(এখানে এরশাদের বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি পরিচয় ও প্রটকোলের আলাপে গেলাম না ইচ্ছা করে। প্রণব মুখার্জি রাষ্ট্রপতি হওয়ার ৩১ বছর আগে এরশাদ রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন।)
## দ্বিতীয় ছবিটি যোগ করলাম অন্য কারণে। প্রথম ছবিতে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতিকে দাঁড়িয়ে থাকা বিষয়টি নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলছেন, তাদেরকে ‘ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণের পরামর্শ’ দিয়ে কেউ কেউ বলছেন যে, প্রণবের হয়তো পায়ে সমস্যা আছে, অসুস্থ। এইজন্য তাকে বসতে দেয়া হয়েছে, বাকিরা দাঁড়িয়ে আছেন!
দ্বিতীয় ছবিতে দেখা যাচ্ছে কোনো মানুষ বা বস্তুর সাহায্য ছাড়াই একা হেঁটে বাড়ি পরিদর্শন করতে পারছেন প্রণব। তার মানে মিডিয়ায় প্রচারিত হবে এমন একটি আনুষ্ঠানিক ছবির ছবির পোজ দেয়ার সময় দাঁড়াতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি!!
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন