নারায়ণগঞ্জ শহরে হকার ইস্যু নিয়ে মঙ্গলবার চাষাঢ়ায় হকার ও এমপি শামীম ওসমানের অনুসারীদের সঙ্গে মেয়রের লোকজনদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে কথা বলবেন না আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি এখন কিছু বলবো না।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভিকে দেখতে যায় তিনি। এ সময় চিকিৎসাধীন মেয়র আইভীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন।
আইভীকে দেখে এসে কাদের সাংবাদিকদের বলেন, মাইনর একটা স্ট্রোক করেছে। এখন আউট অব ডেঞ্জার। অ্যাপারেন্টলি লুকস গুড। আমি নিজে তার সঙ্গে কথা বলেছি। ব্যথা পেয়ে পড়ে গিয়েছিল- এ খবরটি সত্য নয়; পড়ে গিয়ে ব্যথা পেয়েছিল।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আইভী পায়ে ইটের একটি আঘাত পেয়েছিলেন, সেটি আমাকে দেখিয়েছেন। ডা. বরেণ চক্রবর্তীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, আইভীকে কমপক্ষে চার-পাঁচ দিন হাসপাতালে রাখতে হবে।
নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন, ব্যবস্থা নেবেন কী না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি এখন কিছু বলবো না।
এর আগেই বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে নারায়ণগঞ্জ নগর ভবনে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন মেয়র আইভী। পরে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ঢাকায় আনা হয়। বর্তমানে তিনি ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ শহরে হকার ইস্যু নিয়ে মঙ্গলবার চাষাঢ়ায় হকার ও এমপি শামীম ওসমানের অনুসারীদের সঙ্গে মেয়রের লোকজনদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় গ্রুপের লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের লোকজন পিস্তল উচিয়ে বেশ কয়েক রাউন্ড করে। সংঘর্ষের সময় মেয়র আইভীসহ অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়। সেই সঙ্গে আহত হয় সাংবাদিক, আওয়ামী লীগ নেতাসহ বেশ কয়েকজন। আহত হওয়ার দুইদিন পর অসুস্থ হলেন মেয়র আইভী।
মানবকণ্ঠ/
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন