আওয়ামী লীগের প্রক্রিয়াধীন উপকমিটিগুলোর সহ-সম্পাদক পদ থেকে বাদ পড়ছেন অনুপ্রবেশকারী ও প্রশ্নবিদ্ধ ব্যক্তিরা। দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এসব উপকমিটি থেকে তাদের বাদ দেওয়া হবে। তবে ত্যাগী ও দক্ষ নেতাদের বাদ দিয়ে এবং বিএনপি ও ছাত্রদলের একাধিক সাবেক ক্যাডারসহ বিতর্কিতদের নিয়ে গঠন প্রক্রিয়ায় থাকা এসব উপকমিটি নিয়ে এখনও তোলপাড় চলছে দলের ভেতরে বাইরে।
অনুপ্রবেশকারী ও প্রশ্নবিদ্ধ ব্যক্তিদের বিষয়টি তদন্ত করে খতিয়ে দেখার পর তাদের প্রসঙ্গে দলীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে শুক্রবার নিশ্চিত করেছেন দলের উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। তিনি বলেন, প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় থাকায় বিভাগীয় উপকমিটিতে সহ-সম্পাদক হিসেবে যাদের নাম রয়েছে, আপাতত সবাই সদস্য হিসেবে থাকবেন। উপকমিটিগুলোর চেয়ারম্যান ও সদস্য সচিবরা তাদের সাংগঠনিক দক্ষতা যাচাই-বাছাই করার পর সহ-সম্পাদক নির্ধারণ করবেন। পরে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা সহ-সম্পাদকদের নাম চূড়ান্ত করবেন। এরপর সহ-সম্পাদকদের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ূয়া আরও বলেছেন, অননুমোদিত কমিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসায় এক ধরনের বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপকমিটির সহ-সম্পাদক ও সদস্যদের তালিকা জানাজানির পর এ নিয়ে দলের ভেতরে ক্ষোভ ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। এই অবস্থায় দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার জন্য দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নির্দেশ দেন। এর পরপরই প্রক্রিয়াধীন উপকমিটিগুলোতে থাকা সহ-সম্পাদকদের আপাতত সদস্য হিসেবে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পাওয়া উপকমিটির সহ-সম্পাদকদের তালিকায় দলের ত্যাগী ও দক্ষ নেতারা স্থান পাননি। এমনকি বিএনপি ও ছাত্রদলের একাধিক সাবেক ক্যাডারসহ বিতর্কিতদের নিয়ে গঠিত এসব উপকমিটি নিয়ে এখনও চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। বুধবার রাত থেকেই ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দলের কেন্দ্রীয় উপকমিটি গঠনের খবর ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার পাশাপাশি ক্ষোভ-অসন্তোষ দেখা দেয়। বৃহস্পতিবার কয়েকটি গণমাধ্যমে এ-সংক্রান্ত খবর প্রকাশের পর বিষয়টি দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার নজরে আসে। এ নিয়ে তিনি সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর কার্যকর উদ্যোগ নেন দলের সাধারণ সম্পাদক।
এদিকে, আগামী তিন মাসের মধ্যে নতুন করে উপ কমিটি করারও ঘোষাণা দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন