চলতি মাসের ৭ তারিখ পদ্মার ওপরে ঘন কুয়াশায় আটকা পরলেন তিনি। সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা ছিলেন। স্পিডবোটটি কোন দিকে যাবে, কিছুই উঠতে পারছিলেন তারা। এমন সময় স্পিডবোটের চালক ইয়াসিন বলে উঠলেন, স্যার আপনার মোবাইলে কি ইন্টারনেট আছে? সঙ্গে সঙ্গে তিনি বললেন, হ্যাঁ আছে তো! স্পিডবোটের চালক ইয়াসিন গুগলে সার্চ দিয়ে মাঝ নদী থেকে ম্যাপ দেখে নিয়ে গেলেন পাড়ে। ইয়াসিনকে তিনি বললেন, আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা কতটুকু? উত্তরে ইয়াসিন জানালেন ম্যাট্রিকে হ্যাট্রিক ফেল মেরেছি স্যার।
এভাবেই শনিবার সকালে মিষ্টি রোদের আলোয় ধানমন্ডিতে নিজ অফিসে বসে অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিচ্ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম। বর্তমান সময়ের রাজনীতি, আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরিকল্পনা, তৃণমূলকে সংগঠিত করার কার্যকরী উদ্যোগ, শেখ হাসিনার ক্যারিশমাটিক নেতৃত্ব, ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল, উন্নয়নের গণতন্ত্র, চট্টগ্রামসহ সারাদেশের সাংগঠনিক অবস্থা, আগামী দিনে আবারো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসা, ছাত্র রাজনীতি, ডাকসু নির্বাচন নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন এনামুল হক শামীম। পূর্বপশ্চিমকে দেয়া দীর্ঘ সাক্ষাতকারের চুম্বক অংশগুলো পূর্বপশ্চিম পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
একাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আপনার ভাবনা কি এবং আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে কি কি করেছেন বা করতে চান এমন প্রশ্নের জবাবে এনামুল হক শামীম বলেন, ২০১৮ হচ্ছে নির্বাচনের বছর। এ বছরের শেষের দিকে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সাংবিধানিকভাবে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত ৯ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে যেভাবে উন্নয়নের মহাসড়কে তুলেছে, তাতে করে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত।
এনামুল হক শামীম আরো বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার একক ক্যারিশমাটিক নেতৃত্ব এবং সততার অনন্য নজির গড়েছেন। বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে শেখ হাসিনা এখন শুধু আওয়ামী লীগের জন্যই নয়, পুরো বাংলাদেশের জন্যই অপরিহার্য হয়ে উঠেছেন। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় নিয়ে কোনো সংশয় নেই।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থা বুঝাতে গিয়ে এনামুল হক শামীম বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের সবচে বৃহৎ রাজনৈতিক দল। এখানে রাজনৈতিক নেতৃত্বে প্রতিযোগিতা রয়েছে। এটা থাকাই স্বাভাবিক। গণতান্ত্রিক দল হিসাবে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতাকে আওয়ামী লীগ সম্মান করে। তবে দলের মধ্যে বিশেষ করে তৃণমূলে কোনো বিভেদ যেন না থাকে সেদিকে খেয়াল রেখে আগামী ২৬ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে বিশেষ করে বিভাগীয় ও বড় বড় শহরে সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। দলকে গুছানোর জন্যই এই সাংগঠনিক সফরগুলো হাতে নেয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত এ সাংগঠনিক সম্পাদক আরো বলেন, সারাদেশে আমরা নিয়মিত কর্মীসভা, প্রতিনিধি সভা, সদস্য সংগ্রহ অভিযান পরিচালনা করেছি। চট্টগ্রাম বিভাগে ১৬ টি ইউনিটে আমি নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করছি এবং নিয়মিত সম্মেলন করানোর তাগিদ নিয়ে কাজ করছি। দীর্ঘ ১৭ বছর পর রামগঞ্জের উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি দিয়েছি। বিভিন্ন জায়গায় বর্ধিত সভাও করছি। প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় দল এবং স্থানীয় এমপিদের ঐক্যবদ্ধ করতে কাজ করে যাচ্ছি। স্থানীয় এমপি এবং তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে কোনো বিভেদ থাকতে দেয়া হবে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করতে গিয়ে এনামুল হক শামীম বলেন, এ মুহুর্তে সারা বিশ্বের কয়েকজন প্রভাবশালী নেত্রীর মধ্যে তিনি। সততা, মেধা ও দক্ষতায় তিনি বিশ্বনেত্রী হয়ে উঠেছেন। তিনিই একমাত্র নেত্রী যিনি মানবিক হৃদয় নিয়ে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও খাবার দিচ্ছেন। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু দৃশ্যমান করা, প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয় বাড়ানো থেকে শুরু করে মানুষের গড় আয়ুও বেড়েছে শেখ হাসিনার শাসনামলে। খেলাধুলা থেকে শুরু করে সমাজের সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। ক্রিকেটে বাংলাদেশের টাইগাররা একদিন বিশ্বকাপ জিতবে এটাও স্বপ্ন দেখেন আমাদের প্রিয় নেত্রী (শেখ হাসিনা)।
ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে দিতে, ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার। দলের পক্ষ থেকেও আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে উন্নয়ন চিত্র জনগণের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে।
৬ মাসের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন দিতে হাইকোর্টের রায়কে সাধুবাদ জানিয়েছেন সাবেক জাকসু ভিপি এবং ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এনামুল হক শামীম বলেন, এটা খুবই আনন্দের সংবাদ। শিক্ষার্থীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এবং নেতৃত্ব সৃষ্টিতে ঢাকসুসহ দেশের সকল ছাত্র সংসদ নির্বাচন খুব দ্রুত দেয়ারও দাবি জানান তিনি।
উল্লেখ্য, উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একে এম এনামুল হক শামীম। ছাত্র রাজনীতি থেকে জাতীয় রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন নিজের কর্মদক্ষতা ও সুদৃঢ় নেতৃত্বের মাধ্যমে। ছাত্র জীবনেই এনামুল হক শামীম এর নেতৃত্বের বিকাশ ঘটে। ঐতিহাসিক ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি।
এনামুল হক শামীমের সাংগঠনিক দক্ষতা আর ক্যারিশমার কারণেই সে সময়ে সারা দেশে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠন ছাত্রলীগ হয়ে উঠে জনপ্রিয় সংগঠনে।
একসময়ে অভিষিক্ত হন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে। দলীয় কর্মীদের এমনই মন্তব্য এনামুল হক শামীম সম্পর্কে। দেশের অভিজ্ঞ রাজনীতিবীদ এনামুল হক শামীম ছাত্রনেতা থেকে গণমানুষের নন্দিত নেতায় পরিণত হয়েছেন দীর্ঘ ত্যাগ আর কর্মীদের ভালোবাসার কারণেই।
আওয়ামী লীগের দুর্দিনে, দুঃসময়ে রাজপথ কাঁপানো নেতা এনামুল হক শামীম বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি কখনো। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে কখনো পিছপা হননি তিনি।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে তিনি নিজ অবস্থান তৈরি করেছেন অসাধারণ সাংগঠনিক দক্ষতা আর শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি অবিচল থেকে। দলের যে কোনো দুর্যোগ আর সংকটে এনামুল হক শামীম নিজেকে প্রকাশ করেছেন আপোসহীন চেতনায়।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম ১৯৬৫ সালে শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার পাইকবাড়িতে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আলহাজ্ব মোহাম্মদ আবুল হাশেম মিয়া ও মাতা বেগম আশরাফুন্নেসা। ৩ ভাই ও ১ বোনের মধ্যে শামীম সবার বড়।
পেশাগত জীবনে আলহাজ্ব মোহাম্মদ আবুল হাশেম মিয়া একজন প্রকৌশলী ছিলেন। এনামুল হক শামীমের দাদা জনাব আলহাজ্ব রওশন আলী ছিলেন একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং নানা আব্দুল জলিল মুন্সী ছিলেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। বলা যায় ছোটবেলা থেকেই রাজনৈতিক আবহে বড় হয়েছেন তিনি।
এনামুল হক শামীম ছাত্রজীবনে মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন সর্বত্র। স্কুল জীবন থেকেই তার ছাত্ররাজনীতির হাতেখড়ি শুরু হয়। ১৯৭৯ সালে স্কুল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হন।
ঢাকার রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে এইচএসসি পাশ করার পর উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরু থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির আরো বেশি নিবিড়ভাবে জড়িয়ে পড়েন তিনি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের বিপুল ভোটে ১৯৮৯ সালে তিনি জাকসুর ভিপি নির্বাচিত হন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতির পাশাপাশি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় পর্যায়েও তার ছিলো স্বদর্প বিচরণ। ১৯৯০ সালে তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়। সততা, আন্তরিকতা, কঠোর পরিশ্রম ও অাওয়মী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার প্রতি বিশ্বস্ততা দেখিয়ে তিনি ধীরে ধীরে উঠে আসেন ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বে।
১৯৯২ সালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতি এবং ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়। শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতির বার্তা নিয়ে তিনি ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ছুটে বেড়িয়েছেন দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।
তার নেতৃত্বের গুণেই ৭৫ পরবর্তী সময়ে প্রথমবারের মত সারাদেশে ছড়িয়ে পরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জয় জয়কার। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ইতিহাসে এনামুল হক শামীম অনন্য।
’৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন এবং ’৯৬ এর বিএনপি-জামায়াত বিরোধী ‘জনতার মঞ্চ’ এর অন্যতম সংগঠক ছিলেন এনামুল হক শামীম।
প্রগতিশীল রাজনীতির ধারক বাহক এনামুল হক শামীম বারবার প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ২০০১-২০০৬ সালে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে সারাদেশের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংগঠিত করতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। যার ফলে তার উপর নেমে আসে অত্যাচারের খড়গহস্ত।
শতাধিক মামলার আসামি করা হয় তাকে, একাধিকবার কারাবরণ করেন তিনি। ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলায় মারাত্মক ভাবে আহত হয়ে মৃত্যুর লড়াই থেকে ফিরে আসেন তিনি। এখনো শরীরে গ্রেনেডের আঘাতের চিহ্ন ও স্প্লিন্টার বয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি।
১/১১ এর পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে আওয়ামীলীগের সংস্কারপন্থীরা যখন শেখ হাসিনার সমালোচনা ও বিরোধিতা করা শুরু করেন এবং ‘মাইনাস টু’ ফর্মুলা বাস্তবায়ন করে দলে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টায় মত্ত হন তখন তাদের এই হীন অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম প্রকাশ্য বিরোধিতা করেন একেএম এনামুল হক শামীম।
শেখ হাসিনাকে যখন গ্রেফতার করা হয় তখন আওয়ামী লীগের অনেক শীর্ষ নেতা নিশ্চুপ থাকলেও একেএম এনামুল হক শামীম সমমনাদের সাথে নিয়ে সারাদেশের ছাত্রসমাজ ও আওয়ামী অন্তঃপ্রান মানুষদের ঐক্যবদ্ধ করে নেত্রীর মুক্তির জন্য রাজপথে প্রবল আন্দোলন গড়ে তোলেন।
একেএম এনামুল হক শামীম ২০০২ থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অবজারভার মেম্বার হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবারের মতো এবং ২০১২ সালের ডিসেম্বরের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সদস্য মনোনীত হন।
গত বছর২২ ও ২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের ২০তম সম্মেলন অধিবেশনে এনামুল হক শামীমকে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত করা হয়। সাংগঠনিক দায়িত্ব পাওয়ার পর তাকে সবচেয়ে বড় সাংগঠনিক বিভাগ চট্টগ্রামের সাংগঠনিক দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
চট্টগ্রামে ১৬টি সাংগঠনিক জেলা রয়েছে। রয়েছে দলটির প্রভাবশালী ও প্রবীণ অনেক নেতা। তাদের অনেকেই বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে রাজনীতিও করেছেন। এ জটিল এলাকায় দায়িত্বকে সমস্যা হিসেবে না দেখে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার দেয়া দায়িত্বকে সাদরে গ্রহণ করেছেন। নিজ ভূমি থেকে বিতারিত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ঐ এলাকায় দলের সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তিনি।
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণে ব্যস্ত থাকেন দলের এই সাংগঠনিক সম্পাদক।
শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-সখিপুর) আসনে আওয়ামী লীগের অনেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী হলেও স্থানীয় নেতা, জনসাধারণ ও কর্মী সমর্থকদের সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন এনামুল হক শামীম।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন