শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের পর ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও সৎ নয় তাই আইন প্রয়োগ করে ভূমি দখল রোধ করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘ভূমিদস্যুরা ৫৬ টি খাল ভরাট করে ফেলেছে। আশুলিয়ায় রাস্তার দুই পাশে যে পানি দেখা যেত এখন তা দেখা যায় না। গত ১৫ বছরে ধীরে ধীরে সেখানে বালু ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। এখন তুরাগ নদীর চিহ্নও দেখা যাচ্ছে না। পাইপে করে প্রচুর বালি বাইরে থেকে আসছে। এটা বন্ধ করা সম্ভব না হলে সব খাল ভরাট হয়ে যাবে।’
রোববার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টাস’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ডিআরইউ সভাপতি সাইফুল ইসলাম এতে সভাপতিত্ব করেন। মন্ত্রী এসময় সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রণালয়ের নানা অনিয়ম নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আইনে আছে জলাশয় ভরাট করা যাবে না। তবে আইন প্রয়োগ করা যাচ্ছে না। রোধ করা যাচ্ছে না ভূমি দখল। কারণ আমার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও সৎ নয়। গুলশান বনানীর ফুটপাত ঘেঁষেও বড় বড় বিল্ডিং হয়েছে। অথচ ফুটপাত থেকে তা পাঁচ ফুট দূরে থাকার কথা।’
ভূমিদস্যুরা কী সরকারের চেয়ে ক্ষমতাশালী এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘না, তা নয়। এ কারণেই শেখ হাসিনা ভূমিদস্যুদের ছাড় দিবে না। তিনি এদের বিরুদ্ধে দ্রুতই পদক্ষেপ নিবেন।’
কৃষি জমি রক্ষা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কৃষি ভূমিকে রক্ষার জন্য বর্তমান সরকারও কৃষিজমিতে বাড়িঘর নির্মাণে অনুৎসাহিত করছে। বাংলাদেশকে বাঁচাতে চাইলে কৃষি জমি রক্ষা করতে হবে।’
এসময় তিনি জনসাধারণকে সচেতন করে বলেন, ‘লাল ইট পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই আমরা স্যান্ড সিমেন্ট ব্যবহারকে উৎসাহিত করছি। লাল ইট বন্ধে উদ্যোগক্তাদের আহ্বান জানাচ্ছি।’
এর আগে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শুকুর আলী শুভ মন্ত্রীর বর্ণাঢ্য জীবনের সংক্ষিপ্ত তথ্য তুলে ধরেন। ডিআরইউ নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি দায়িত্ব গ্রহণের পর মন্ত্রীদের সাথে এটিই প্রথম মিট দ্যা রিপোর্টাস। আর এই অনুষ্ঠানটি ডিআরইউ’র জনপ্রিয় ও নিয়মিত অনুষ্ঠান।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন