নারায়ণগঞ্জে সংঘর্ষের দিন মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর সঙ্গে বিএনপি ও যুবদল ‘ক্যাডাররা’ অংশ নিয়েছিলেন বলে সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমানের অভিযোগের জবাব দিয়েছেন একজন যুবদল নেতা।
সংঘর্ষের পাঁচ দিন পর রবিবার এক বিবৃতিতে মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক ও কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেন, তাকে ঘিরে শামীম ওসমান যে অভিযোগ করছেন সেটা মিথ্যা।
বিবৃতিতে খোরশেদ বলেন, ‘গত ১৬ জানুয়ারি চাষাঢ়ায় হকার ইস্যু নিয়ে যে সংঘর্ষ ঘটেছে সেখানে আমি ছিলাম না।’
খোরশেদ ১৩নং ওয়ার্ডের টানা দুইবার নির্বাচিত কাউন্সিলর। তার বড় ভাই তৈমূর আলম খন্দকার বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা।
তবে আইভীর সঙ্গে মিছিলে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন খোরশেদ। তিনি বলেন, ‘সেদিন দাপ্তরিক কাজে আমি দুপুর থেকেই নগর ভবনে ছিলাম। আনুসঙ্গ সভা শেষে মেয়র ফুটপাত দখলমুক্ত রাখার ক্যাম্পেইনে আমাকে শরিক হতে বলেন।’
‘যেহেতু চাষাঢ়া এলাকাটি আমার নির্বাচনী এলাকার ভেতরে সেহেতু আমি মেয়রের অনুরোধে সম্মত হই যে পদযাত্রায় থাকব।’
‘পরে মেয়রের সঙ্গে পায়ে হেঁটে ম-লপাড়া ঢাল পর্যন্ত একত্রে আসি। ম-লপাড়ার উত্তর ঢালে আসার পর ব্যক্তিগত কাজে আমি বাসায় চলে যাই। ম-লপাড়ার পর আমার খোরশেদের আর কোন অবস্থান নাই।’
১৬ জানুয়ারি সংঘর্ষের পরদিন সংবাদ সম্মেলনে শামীম ওসমান অভিযোগ করেন, মেয়র আইভী সেদিন বিএনপির ক্যাডারদেরকেও নিয়ে এসেছিলেন। তিনি মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মাকসুদুল আলম খোরশেদ, বিএনপি ‘ক্যাডার’ সুমন, কাউন্সিলর বিভার নামও বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, ‘বিএনপির খোরেশদ গংরা আইভীর কাঁধে ভর করে এখনও আমাদের মারবে এখনও? এই আমলেও? এখনও মারবে, তখনও মারল? আমরা যারা কর্মী নিয়ে রাজনীতি করি, এই প্রশ্নের জবাব আমাদের দিতে হয়।’
শামীম ওসমানের এই অভিযোগকে ‘কল্পনাপ্রসূত’ আখ্যা দিয়ে যুবদল নেতা খোরশেদ বলেন, ‘আমি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলতে পারি, চাষাঢ়ায় সংঘর্ষে আমি উপস্থিত ছিলাম না। এমনকি কোন ধরনের নির্দেশনা বা আমার অনুগামী লোকজনও ছিল না। নিছক রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজির জন্যই আমার নাম জড়ানো হচ্ছে।’
‘ম-লপাড়ার পর চাষাঢ়া অবধি আইভীর পদযাত্রার ফুটেজ ও ছবি নিশ্চয় গণমাধ্যম ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ গোয়েন্দা সংস্থার কাছে রয়েছে। সেখানে আমার টিকিটি পর্যন্ত নেই।’
খোরশেদ বলেন, ‘আমি একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। আর সে কারণে মেয়রের পাশে আমাকে সক্রিয় দেখা গেলে তাতে মহাভারত অশুদ্ধ হওয়ার কথা নয়; বরং সেটাই স্বাভাবিক।’
নারায়ণগঞ্জের অনেক বিএনপি নেতা বর্তমান সরকারের আমলে ‘ঠুঁটো জগন্নাথ’ বনে গেছে জানিয়ে খোরশেদ বলেন, ‘আমি ও আমার যুবদল সর্বদা মাঠে সক্রিয়। পুলিশের হামলা মামলা উপেক্ষা করে রাজপথে থাকার কারণেই আমাকে টার্গেট করে মিথ্যে অভিযোগ রটানো হচ্ছে।’
ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন