জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা আপিল গ্রহণযোগ্যতার শুনানি আজ। একইসঙ্গে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর জামিন শুনানিও অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক মাহবুব উদ্দীন খোকন ঢাকাটাইমসকে বলেন, আপিলের গ্রহণযোগ্যতার উপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ম্যাডামের জামিন আবেদনের উপরও শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
পাঁচ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ের বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার আপিল করেন খালেদা জিয়া। ওই দিনই আপিলের গ্রহণযোগ্যতার শুনানির জন্য দিন নির্ধারণে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করা হয়। আদালত বৃহস্পতিবার শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেন।
রায় ঘোষণার ১২ দিন পর গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক আখতারুজ্জামানের কার্যালয় থেকে মামলার রায়ের সার্টিফায়েড কপি নেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এরপরই তারা আপিল দায়ের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে। খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা আপিল দায়েরের জন্য দফায় দফায় বৈঠক করেন। মঙ্গলবার বিকালে ৪৪টি যুক্তিতে খালেদা জিয়ার খালাস চেয়ে আপিল আবেদন করা হয়।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি পুরান ঢাকার বকশিবাজারে অবস্থিত বিশেষ জজ আদালত-৫ এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়। রায়ের পর থেকে নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারে রয়েছেন খালেদা জিয়া। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছরের জেল ও জরিমানা করা হয়। রায়ের দিন আদালত ৬৩২ পৃষ্ঠার রায়ের সার সংক্ষেপ পড়েন। তবে খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের রায়ের অনুলিপি দেয়া হয়েছে এক হাজার ১৭৬ পৃষ্ঠার।
(ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন