সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে অভিযোগ রিজভির। এটা গণতন্ত্রের জন্য ভালো সংকেত নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার পল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জের পর পতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
সকাল ১১টার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান কার্যালয়ে ঢোকার সময় আরেক দফা আক্রমণ চালায় পুলিশ। লাঠিপেটার পাশাপাশি কয়েকজনকে টেনে নিয়ে ভ্যানে তোলে তারা। এসময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলকে আটক করা হয়।
কার্যালয়ের বাইরে যে প্যান্ডেল করা হয়েছিল, তা পুলিশ ভেঙে দিয়েছে। কালো পতাকাগুলো ছড়িয়ে পড়ে সড়কের বিভিন্ন স্থানে। আশপাশের গলিতে আশ্রয় নেয়া বিএনপি কর্মীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপি গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অথবা নয়া পল্টনে জনসভার অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু পুলিশ অনুমতি দেয়নি। সমাবেশ করতে না দেয়ার প্রতিবাদে শনিবার ‘কালো পতাকা প্রদর্শন’ কর্মসূচি দিয়েছিল বিএনপি।
শনিবার সকাল ১১টার কর্মসূচিতে অংশ নিতে বিএনপি নেতা-কর্মীরা নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হচ্ছিল।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, মওদুদ আহমদ, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সাবেক সংসদ সদস্য নীলোফার চৌধুরী মনি ছিলেন সেখানে।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কয়েকশ কর্মী কার্যালয়ের সামনে সড়কে কালো পতাকা নিয়ে বসে পড়েন। খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে স্লোগান শুরু করেন তারা।
এর আগে থেকেই বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দুই পাশে বিপুল পুলিশসহ সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্যরা অবস্থান নিয়ে ছিল জলকামানের গাড়ি ও সাজোঁয়া যান নিয়ে।
বিএনপিকর্মীরা সড়কে অবস্থান নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে লাঠিপেটা শুরু করে পুলিশ, জলকামান থেকে রঙিন পানিও ছুড়তে থাকে।
লাঠিপেটায় ফজূলুল হক মিলন ও মনি আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন