আওয়ামী লীগে এখন নীরব যুদ্ধ চলছে। জামাত বিএনপি থেকে আমদানী হওয়া হাইব্রিড আওয়ামী লীগারদের সঙ্গে আসল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরোধ এখন প্রকাশ্যে। সাম্প্রতিক সময়ে উপ-কমিটিতে সব হাইব্রিডদের ঢোকানো নিয়ে ক্ষুদ্ধ আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা কর্মীরা।
শুধু কেন্দ্রীয় কমিটি নয়, হাইব্রিডরা ঢুকে পরেছে দলের জেলা, উপজেলা এমনকি ওয়ার্ড কমিটিতেও। এজন্যই তৃনমূলের ত্যাগী পরিক্ষীত নেতা কর্মীরা শুরু করেছে ‘কাউয়া খেদানো অভিযান’। এই অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ছাত্রলীগের প্রাক্তন নেতারা। এদের একজন জানালো ‘আওয়ামী লীগ এখন দুটো। একটা হলো জাতির পিতার আওয়ামী লীগ। এই আওয়ামী লীগের প্রধান হলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। অন্য আওয়ামী লীগ হলো কাউয়া আওয়ামী লীগ। কাউয়া আওয়ামী লীগের প্রধান হলেন আবদুস সোবহান গোলাপ।’
ওই সাবেক ছাত্রনেতা জানালেন, গোলাপ ভাই তার বাসার কাজের লোককেও আওয়ামী লীগ উপ কমিটিতে সহ-সম্পাদক বানিয়েছে। দপ্তর সম্পাদক হবার কারণে, বিভিন্ন কমিটিতে জামাত-বিএনপি এবং কাউয়াদের বসিয়ে দিচ্ছেন।
জানা গেছে, ছাত্রলীগের ১৪ জন সাবেক নেতা দলের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় প্রার্থনা করেছেন। তারা আওয়ামী লীগে কাউয়া প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করবেন।
বাংলা ইনসাইডার
‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধির ৫০ বছর
১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন। সেই উপাধির ৫০ বছর পূর্ণ হলো শুক্রবার।
বঙ্গবন্ধু আগরতলা মামলা থেকে মুক্তিলাভের পর তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১০ লাখ লোকের ঐতিহাসিক সমাবেশে তৎকালীন ডাকসুর ভিপি ও সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি তোফায়েল আহমেদ এই উপাধি ঘোষণা করেন। তখন থেকেই জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান হয়ে গেলেন বাঙালির প্রিয় ‘বঙ্গবন্ধু’।
শুক্রবার ভোলার সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক সমাবেশে স্মৃতিচারণ করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘২১ ফেব্রুয়ারি পল্টনে লাখ লাখ লোকের সমাবেশে বক্তব্যে সেদিন আমি বলেছিলাম, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে হবে। ঠিক তার পরদিন ২২ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানি স্বৈরশাসক বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। তার পরের দিন ২৩ ফেব্রুয়ারি ১০ লাখ লোকের বিশাল সমাবেশে জাতির জনককে বঙ্গবন্ধু উপাধি ঘোষণা করি।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন