দুর্নীতিবাজদের জায়গা কারাগারেই হওয়া ভাল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি নেত্রী দুর্নীতির দায়ে জেলে যাওয়ার পর যারা বলে সমস্যা নেই। তারা মূলত মানসিক বিকারগ্রস্ত।
শনিবার সকালে কুষ্টিয়া এক বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আরো বলেন, যে দলের নেত্রী দুর্নীতির দায়ে কারাগারে যায়। তার দল দেশে-বিদেশে দুর্নীতিবাজ দল হিসেবে পরিচিত। সেই দল ফের ক্ষমতায় এলে দেশকে দুর্নীতিবাজ দেশে পরিণত করবে।
বিএনপি বিপর্যয়ের মুখে অপ্রাসঙ্গিক কথাবার্তা বলছে: হানিফ
এর আগে ২৩ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি বিপর্যয়ের মুখে অপ্রাসঙ্গিক কথাবার্তা বলছে।
বেগম খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাতের মামলায় ইতিমধ্যে আদালতের রায়ে কারাদন্ডে দন্ডিত হয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, দন্ডপ্রাপ্ত একজন আসামীর আইন অনুযায়ী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কোন সুযোগ নেই। বিএনপি বির্পযয়ের মুখে কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করার জন্য অপ্রাসঙ্গিক কথাবার্তা বলে বেড়াচ্ছে। খবর বাসসের
শুক্রবার বেলা ১২টায় কুষ্টিয়া শহরে নিজ বাসভবনে মাহবুব উল আলম হানিফ দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগামী জাতিয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। আইনানুগভাবে যাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের যোগ্যতা থাকবে তারাই নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে।
হানিফ বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া অযোগ্য হলে তাকে বাদ দিয়েই নির্বাচন হবে। আন্দোলন সংগ্রাম করে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করা যাবে না।’
কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী রবিউল ইসলাম, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজগর আলী, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতাসহ অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
খালেদা জিয়ার মামলার সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোন সম্পর্ক নেই: হানিফ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মামলার সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোন সম্পর্ক নেই। বিএনপি তাদের দুর্নীতি ঢাকতে এভাবে নির্লজ্জভাবে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে।
শনিবার ভেড়ামারা রহিমা আফসার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল আহম্মেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভেড়ামারা সার্কেল) নুরে আলম সিদ্দিকীসহ স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন