সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশীর মধ্যে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে সম্ভাব্য দুই প্রার্থীকে সবুজ সংকেত দিয়েছে কেন্দ্র। আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় ঘোষণা না আসলেও বড় দুই দলের এই দুই প্রার্থী দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনে লড়ার যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তিন মনোনয়ন প্রত্যাশীর মধ্য থেকে প্রয়াত পৌর মেয়র আয়ুব বখত জগলুলের ছোট ভাই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নাদের বখত নৌকার মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন বলে দলটির একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। বিভিন্ন পর্যায়ে জনপ্রতিনিধি থাকা অস্থায় প্রয়াত নেতাদের পরিবারকে সম্মানিত করার ধারাবাহিকাতার অংশ হিসেবে জগলুলের পরিবারও এই সহমর্মিতা পাবেন বলে জানা গেছে। আওয়ামী লীগের হাইকমাণ্ড নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে নাদের বখতকে ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে বিশ্বস্ত একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এছাড়া, জগলুলের পরিবার থেকে প্রার্থী দিলে নৌকা বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা দেখেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ।
অপরদিকে, তফসিল ঘোষণার পর এ পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে বিএনপির দুইজন মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকলেও ভোটের মাঠে হাছনরাজার প্রপৌত্র দেওয়ান সাজাউর রাজা চৌধুরী সুমনকে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে দেখছে বিএনপি। আসছে নির্বাচনী লড়াইয়ে আ.লীগ ও স্বতন্ত্র যে সম্ভাব্য প্রার্থী রয়েছেন ব্যাক্তিগত জনপ্রিয়তা, ইতিবাচক ইমেজ ও পারিবারিক পরিচিতির ওই দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর সাথে লড়াই করতে পারবেন সুমন রাজা। সামাজিক কর্মকাণ্ডে ব্যাপকভাবে জড়িত ও তরুণদের কাছে জনপ্রিয় সুনম রাজাকে তাই প্রার্থী হিসেবে চান জেলা বিএনপি বেশিরভাগ নেতা। যদিও দলীয় মনোনয় কেন্দ্র থেকে দেয়ার যে রেওয়াজ রয়েছে, সেক্ষেত্রে জেলা নেতাদের পাকাপোক্ত সুপারিশ থাকবে সুমন রাজার পক্ষে। দলটির অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাবেক পৌর কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল নোমানও ধানের শীষে আশাবাদী।
অপরদিকে, এবারও সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রয়াত পৌর মেয়র মমিনুল মইজ উদ্দীনের সহোদর দেওয়ান গনিউল সালাদীন। বিগত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পোড়খাওয়া প্রার্থী জগলুলের মোকাবেলায় বিএনপির শক্তিশালী প্রার্থী না থাকায় প্রয়াত মউজদীনের ইমেজকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচনে দ্বিতীয় হন সালাদীন।
এছাড়া দলীয় জনপ্রিয়তা থাকার পরও অতীতের নির্বাচনগুলোতে ভোটের মাঠে সুবিধা করতে পারেনি বিএনপি। এই প্রথম পারিবারিক ভোটব্যাংক ও ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা রয়েছে এমন একজনকে দলের প্রার্থী মনোনয়ন দেয়ার যে সবুজ সংকেত দেয়া হয়েছে, তাতে এই প্রথম সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদে আওয়ামী লীগ বনাব বিএনপির মধ্যে তুমুল ভোটযুদ্ধ হবে। কেবলমাত্র পারিবারিক ইমেজকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচনী দৌড় উতরে যাওয়া কিছুতেই সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন ভোটারা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন