‘মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও জাল নথি দিয়ে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সাজা দেয়া হয়েছে। যারা এই কাজ করেছে তারা ভেবেছে যে আবারো একদলীয় নির্বাচন করে ক্ষমতায় যাবে। কিন্তু তাদের পরিকল্পনা ভুল। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি আর ২০১৮ সাল কিন্তু এক বছর নয়। অনেক ঘটনা ঘটেছে। নদীতে অনেক পানি গড়িয়েছে’ বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল সাজানো, মিথ্যা মামলার রাজনৈতিক তাৎপর্য ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জিয়া পরিষদের সভাপতি কবীর মুরাদের সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল্লাহিল মাসুদের সঞ্চালনায় সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. এসএম হাসান তালুকদার। এসময় আরও বক্তব্য দেন জিয়া পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আবদুল কুদ্দুস, যুগ্ম মহাসচিব ড. দেলোয়ার হোসেন, অধ্যাপক আবুল কালাম আযাদ, সহকারী মহাসচিব শহিদুল ইসলাম শহিদ প্রমুখ। ক্ষমতাসীনরা দুর্নীতির মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচার করছে মন্তব্য করছে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগ মুহূর্তে বিদেশে টাকা পাচার করা হচ্ছে। কারণ তাদের ভয় পেয়েছে যদি নির্বাচনে তারা না জিতে। এই সরকারের সর্বত্রই দুর্নীতি। উন্নয়নের কথা বলে দেশের অর্থনীতি ফতুর করে দিয়েছে। কোনো তদারকি নেই। প্রত্যেক ক্ষেত্রে দুর্নীতি সীমা ছাড়িয়েছে। কিন্তু দেশের মানুষ একদিন এসবের হিসাব নিবে ‘ বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দুর্নীতিবাজদের শ্বেতপত্র প্রকাশ করা এবং দুর্নীতি বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে তিনি জানান। দেশে বর্তমানে কোনো সরকার আছে কিনা এমন প্রশ্ন রেখে মওদুদ আহমদ বলেন, ‘দেশের যে সরকার আছে কোনো জবাবদিহিতা নেই। জনগণের বিরোধী দল নেই। তবে সব মানুষের ক্ষোভ আছে। তারা একবার সুযোগ পেলে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে অবস্থা পাল্টে দেবে।’ খালেদা জিয়ার মামলা প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘নিম্ন আদালত কিন্তু এখন সুপ্রিম কোর্টের অধীনে নাই, এটা চলে গেছে নির্বাহী বিভাগের অধীনে। এই যে দেখেন কুমিল্লার মামলায় ওয়ারেন্ট। এতদিন চলছে ওয়ারেন্ট ইস্যু নেই। এখন যেহেতু উচ্চ আদালতে উনি জামিন পেয়ে গেছেন এখন ওয়ারেন্ট পাঠিয়ে দিয়েছেন। উদ্দেশ্য- ২৮ মার্চ পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়া যেন জেলখানায় থাকে তার ব্যবস্থা করা। এটা হীনমন্যতা ছাড়া আর কিছু না। কিন্তু লাভ হবে না তাতে। আমরা মনে করি, আপনারা যতই কলা-কৌশল করেন না কেনো, যতই ছল-চাতুরি করেন না কেনো, যতই ষড়যন্ত্র করেন না কেনো বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হয়ে আমাদের কাছে আবার ফিরে আসবেন।’ মওদুদ আহমদ বলেন, ‘উনার বিরুদ্ধে এখন যতো মামলা আছে সব স্থগিত আছে, নিয়ন্ত্রণে আছে। ৪টা মামলা- দুইটা ঢাকায়, একটা নড়াইল এবং একটা কুমিল্লায়। একটা কথা আমি বলতে চাই, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি একদিনের জন্য বিলম্বিত হলে তাঁর জনপ্রিয়তা দ্বিগুন বাড়বে বাংলাদেশে। বিলম্ব করতে চান? করেন। আমার নেত্রীর কষ্ট হবে ঠিকই কিন্তু তার জনপ্রিয়তা আপনারা ঠেকাতে পারবেন না।’ উচ্চ আদালতে খালেদা জিয়ার জামিনের বিরুদ্ধে সরকারের আপিলের প্রসঙ্গে প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, ‘আমাদের দেশনেত্রী বেগম জিয়ার জামিন হয়ে গেলো। আমরা আশা করেছিলাম যে, উনি আজকে অথবা কালকের মধ্যে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন। তাদের (রাষ্ট্রপক্ষ) অধিকার আছে আপিল করার। তারা আজকে আপিল করতে গিয়েছিলেন, তারা সময় চেয়েছেন। আমরা বলেছি কালকে ফুল বেঞ্চে শুনানি হবে। কালকে ইনশাল্লাহ এক নম্বরে থাকবে বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়টা। আমরা মনে করি এই যে বিচারিক প্রক্রিয়া, এই প্রক্রিয়ায় উচ্চতম আদালত হাইকোর্টের জামিনের রায় বহাল রাখবেন- এটাতে আমাদের মনে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু সন্দেহ হলো এ যেন ১৫ দিন বিলম্ব হলো। এটা তো আদালত করে নাই, সরকার করেছে, সরকারি কর্মচারিরা করেছে যারা এটা নিয়ে ঘাটাঘাটি করেন।’ মওদুদ আহমদ বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে তাকে সাথে নিয়েই আমরা নির্বাচন করবো এবং সেই নির্বাচন একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে যে ধানের শীষের পক্ষে জোয়ার উঠবে, দেশের মানুষ যখন উনার পক্ষে মাঠে নেমে যাবে তখন বাংলাদেশের রাজনীতির চিত্র পাল্টে যাবে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক
আরটিএনএন
ঢাকা: ‘মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও জাল নথি দিয়ে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সাজা দেয়া হয়েছে। যারা এই কাজ করেছে তারা ভেবেছে যে আবারো একদলীয় নির্বাচন করে ক্ষমতায় যাবে। কিন্তু তাদের পরিকল্পনা ভুল। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি আর ২০১৮ সাল কিন্তু এক বছর নয়। অনেক ঘটনা ঘটেছে। নদীতে অনেক পানি গড়িয়েছে’ বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল সাজানো, মিথ্যা মামলার রাজনৈতিক তাৎপর্য ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জিয়া পরিষদের সভাপতি কবীর মুরাদের সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল্লাহিল মাসুদের সঞ্চালনায় সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. এসএম হাসান তালুকদার। এসময় আরও বক্তব্য দেন জিয়া পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আবদুল কুদ্দুস, যুগ্ম মহাসচিব ড. দেলোয়ার হোসেন, অধ্যাপক আবুল কালাম আযাদ, সহকারী মহাসচিব শহিদুল ইসলাম শহিদ প্রমুখ।
ক্ষমতাসীনরা দুর্নীতির মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচার করছে মন্তব্য করছে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগ মুহূর্তে বিদেশে টাকা পাচার করা হচ্ছে। কারণ তাদের ভয় পেয়েছে যদি নির্বাচনে তারা না জিতে। এই সরকারের সর্বত্রই দুর্নীতি। উন্নয়নের কথা বলে দেশের অর্থনীতি ফতুর করে দিয়েছে। কোনো তদারকি নেই। প্রত্যেক ক্ষেত্রে দুর্নীতি সীমা ছাড়িয়েছে। কিন্তু দেশের মানুষ একদিন এসবের হিসাব নিবে ‘ বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দুর্নীতিবাজদের শ্বেতপত্র প্রকাশ করা এবং দুর্নীতি বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
দেশে বর্তমানে কোনো সরকার আছে কিনা এমন প্রশ্ন রেখে মওদুদ আহমদ বলেন, ‘দেশের যে সরকার আছে কোনো জবাবদিহিতা নেই। জনগণের বিরোধী দল নেই। তবে সব মানুষের ক্ষোভ আছে। তারা একবার সুযোগ পেলে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে অবস্থা পাল্টে দেবে।’
খালেদা জিয়ার মামলা প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘নিম্ন আদালত কিন্তু এখন সুপ্রিম কোর্টের অধীনে নাই, এটা চলে গেছে নির্বাহী বিভাগের অধীনে। এই যে দেখেন কুমিল্লার মামলায় ওয়ারেন্ট। এতদিন চলছে ওয়ারেন্ট ইস্যু নেই। এখন যেহেতু উচ্চ আদালতে উনি জামিন পেয়ে গেছেন এখন ওয়ারেন্ট পাঠিয়ে দিয়েছেন। উদ্দেশ্য- ২৮ মার্চ পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়া যেন জেলখানায় থাকে তার ব্যবস্থা করা। এটা হীনমন্যতা ছাড়া আর কিছু না। কিন্তু লাভ হবে না তাতে। আমরা মনে করি, আপনারা যতই কলা-কৌশল করেন না কেনো, যতই ছল-চাতুরি করেন না কেনো, যতই ষড়যন্ত্র করেন না কেনো বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হয়ে আমাদের কাছে আবার ফিরে আসবেন।’
মওদুদ আহমদ বলেন, ‘উনার বিরুদ্ধে এখন যতো মামলা আছে সব স্থগিত আছে, নিয়ন্ত্রণে আছে। ৪টা মামলা- দুইটা ঢাকায়, একটা নড়াইল এবং একটা কুমিল্লায়। একটা কথা আমি বলতে চাই, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি একদিনের জন্য বিলম্বিত হলে তাঁর জনপ্রিয়তা দ্বিগুন বাড়বে বাংলাদেশে। বিলম্ব করতে চান? করেন। আমার নেত্রীর কষ্ট হবে ঠিকই কিন্তু তার জনপ্রিয়তা আপনারা ঠেকাতে পারবেন না।’
উচ্চ আদালতে খালেদা জিয়ার জামিনের বিরুদ্ধে সরকারের আপিলের প্রসঙ্গে প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, ‘আমাদের দেশনেত্রী বেগম জিয়ার জামিন হয়ে গেলো। আমরা আশা করেছিলাম যে, উনি আজকে অথবা কালকের মধ্যে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন। তাদের (রাষ্ট্রপক্ষ) অধিকার আছে আপিল করার। তারা আজকে আপিল করতে গিয়েছিলেন, তারা সময় চেয়েছেন। আমরা বলেছি কালকে ফুল বেঞ্চে শুনানি হবে। কালকে ইনশাল্লাহ এক নম্বরে থাকবে বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়টা। আমরা মনে করি এই যে বিচারিক প্রক্রিয়া, এই প্রক্রিয়ায় উচ্চতম আদালত হাইকোর্টের জামিনের রায় বহাল রাখবেন- এটাতে আমাদের মনে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু সন্দেহ হলো এ যেন ১৫ দিন বিলম্ব হলো। এটা তো আদালত করে নাই, সরকার করেছে, সরকারি কর্মচারিরা করেছে যারা এটা নিয়ে ঘাটাঘাটি করেন।’
মওদুদ আহমদ বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে তাকে সাথে নিয়েই আমরা নির্বাচন করবো এবং সেই নির্বাচন একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে যে ধানের শীষের পক্ষে জোয়ার উঠবে, দেশের মানুষ যখন উনার পক্ষে মাঠে নেমে যাবে তখন বাংলাদেশের রাজনীতির চিত্র পাল্টে যাবে।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন