নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ কয়েকটি মামলায় কারগারে রয়েছেন।
গতকাল সোমবার বিকেলে আড়াইহাজারের একটি মামলায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলে, তাকে নিয়ে আড়াইহাজার থানার উদ্দেশ্যে রওনা হয় পুলিশ। এসময় অধ্যাপক মামুন মাহমুদের কোমড়ে দড়ি বেঁধে গাড়িতে তোলা হয়। এ নিয়ে আদালতপাড়ায় উপস্থিত বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়।
আদালতে উপস্থিত এক বিএনপি কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরটিভি অনলাইনকে বলেন, অধ্যাপক মামুন মাহমুদ কোনো চোর নয়, ডাকাত নয়, সাত খুনের আসামিও নয়। তিনি একজন অধ্যাপক, একজন সজ্জন মানুষ। শুধু বিএনপির রাজনীতি করার কারণে তার ওপর এই অত্যাচার।
অধ্যাপক মামুদের কোমড়ে দড়ি বেঁধে গাড়ি তোলা প্রসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দাকার আরটিভি অনলাইনকে বলেন, সরকার তো চালাচ্ছেই পুলিশ। তাই তারা স্বেচ্ছাচারিতা করছে। একটা রাজনৈতিক দলের নেতার প্রতি পুলিশের এমন আচরণ খুবই নিন্দনীয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে এসপি সাহেবের সঙ্গে দেখা করে তাকে হয়রানি না করার ব্যাপারে বলবো।
এ ব্যাপারে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল আরটিভি অনলাইনকে বলেন, অধ্যাপক মামুন মাহমুদ ডাকাত নন। তিনি পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীও নন। কোমড়ে দড়ি বেঁধে একটি রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদককে গাড়িতে উঠানো কখনোই পুলিশের সৌজন্যবোধের ভেতরে পরে না।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন