ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তরুণীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কৃত চন্দন দাস এখন রামপুরা থানা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক। এছাড়া নারায়নগঞ্জ চাষাঢ়ার যুবদল নেতা আখতার হোসেন ওরফে আদম আখতারও ঠাঁই পেয়েছেন রামপুরা আওয়ামী লীগের থানা কমিটিতে। এ নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, খিলগাঁও তালতলা সুপার মার্কেটের সভাপতি হুমায়ুন কবীর আজাদ ওরফে বিএনপি আজাদকেও থানা আওয়ামী লীগের ৪ নম্বর সহ-সভাপতি পদ দেওয়া হয়েছে। এভাবেই বিএনপি-জামায়াত জোটের বিভিন্ন কমিটির দায়িত্বশীল নেতারা অবলীলায় ঢুকে পড়ছেন আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ কমিটিগুলোর দায়িত্বশীল নেতৃত্বে। এসব ব্যাপারে ত্যাগী নেতা কর্মীদের বাদ-প্রতিবাদ, আবেদন নিবেদন কোনো কিছুই কাজে আসছে না। উল্টো যারা বিএনপি-জামায়াতের বিরোধীতা করছেন তাদের নাম কমিটিতেই রাখা হয়নি।
এদিকে আওয়ামী লীগের আন্দোলন সংগ্রামে সর্বদা রাজপথ কাঁপানো ৯৮ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, রামপুরা থানা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের (দক্ষিণ) সহ-সভাপতি খায়রুল ইসলাম খায়ের। তিনি ২০১৩-১৪ সালে বিএনপি-জামায়াতের লাগাতার হরতাল অবরোধের প্রতিবাদে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামকালেই বিএনপির চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা তাকে উপুর্যপরি গুলি চালায়। দীর্ঘদিন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে তিনি জানে বেঁচে গেলেও পঙ্গুত্ব বরণ করে আছেন। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনাতেও তিনি আহতদের একজন। তার এ ত্যাগের মূল্যায়ন হয়নি। রাখা হয়নি তাকে কোনো কমিটিতে।
এছাড়াও ২২ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তুষার, বৃহত্তর ২২ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাসিম, রামপুরা থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মাসুদ পারভেজসহ দক্ষ সংগঠক অনেককেই রাখা হয়নি বর্তমান কমিটিতে।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন