ডেস্ক রিপোর্ট
সামনে আবার ক্ষমতায় আসতে দেন দরবার করতে ফের ভারতে গেছেন একঝাক আওয়ামী লীগ নেতা । তারা সবাই সিনিয়র নেতা ।
প্রতিনিধি দলে আছেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি ও উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া। প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে সিনিয়র আওয়ামী নেতাদের গায়ে ভারতীয় পতাকা জড়ানো । নিউজটি বেশ কয়েকটি ভারতপন্থি পত্রিকা প্রচার করেছে। ভারতপন্থি বাংলাট্রিবিউনের ফেসবুক পেজে বেশ কয়েকজন কড়া মন্তব্য করেছেন।
কবির লিখেছেন, ছি: ছি:........ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির এ কি বেহাল দশা! ঠিক যেমন ছাগলের গলায় দড়ি আর আওয়ামী নেতাদের গলায় ভারতীয় পতাকার ওড়না
শাহরিয়ার বলেছেন, ভারতীয় পতাকা কাদে না মাখিয়ে,,ভারতের নাগরিকত্ব নিয়ে নেন,,তাতেই ভাল হয়,,হায়রে সোনার বাংলা,,আর কি করলে হয় সারা।
রশিদ লিখেছেন, জোর করে ক্ষমতায় থাকার জন্য আবারও ভারতকে......জমা দিতে গেছে।
শোভন বলেছেন, ৭১এ রাজাকার রা পাকিস্তানিদের খুশি করার জন্য যা খুশি তাই করতো।
এখন নব্য রাজাকার যারা তারাও দেখি নিজেদের সব সংস্কৃতি,মান সম্মান জলাঞ্জলি দিয়ে নিজেদের অন্যের পায়ের তলায় স্থান দিচ্ছে!!!
মাসুদ লিখেছেন, মাশাআল্লাহ দেশের পতাকা বাদ দিয়ে রেন্ডিয়ার পতাকা গলায় দিয়ে সাক্ষাত করা মানে গোলামী করা তাই না,,,,,,এই না হইলো স্বাধীন দেশের নাগরিক এরা,,,,,,এরা আবার বলে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দল,,,,,,তাহলে এতো লক্ষ লক্ষ লোকের রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন করার কি দরকার ছিলো রে দালালের বাচ্চারা।
পায়েল লিখেছেন, বাংলাদেশ নামের রাজ্যের প্রতিনিধি গন ভারতের পতাকা গলায় ঝুলিয়ে পেলছেন।
কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আ.লীগ প্রতিনিধি দলের বৈঠক
কংগ্রেসের নতুন সভাপতি রাহুল গান্ধী, সাবেক সভাপতি সোনিয়া গান্ধী, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, দেশটির বর্তমান সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা আনন্দ শর্মা সঙ্গে বৈঠক করেছেন আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। ভারতের সময় দুপুর ১২টায় এ বৈঠক হয়। আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলে আছেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি ও উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া। বৈঠকের পর এসব তথ্য জানান বিপ্লব বড়ুয়া।
বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ‘অত্যন্ত সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক হয়েছে। এতে বাংলাদেশের নানা বিষয় উঠে আসে।’
বৈঠকে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘বাংলাদেশ তৈরি পোশাক খাত অভূতপূর্ব উন্নতি করেছে। আমি বাংলাদেশের ব্যাপারে সব খোঁজ-খবরই রাখি।’
এসময় সোনিয়া গান্ধী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সঙ্গে কংগ্রেসের ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বাংলাদেশের সব খাতের উন্নয়নে অনেক কাজ করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ও ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে দেওয়া বিশেষ সম্মাননা ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা সম্মাননা’ (মরণোত্তর) পদক গ্রহণ করতে ২০১১ সালের ২৪ জুলাই বাংলাদেশে আসেন সোনিয়া গান্ধী। সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সোনিয়া গান্ধী বলেন, ‘বাংলাদেশ সফরের সময় আওয়ামী লীগ সরকারের আতিথেয়তা মুগ্ধ হয়েছিলাম।’
১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্তিলাভ করে দিল্লি এয়ারপোর্টে যান। ওই সময় বঙ্গবন্ধুকে অভ্যর্থনা জানাতে এয়ারপোর্টে যান ইন্ধিরা গান্ধী। সে সময় বঙ্গবন্ধুকে এক পলক দেখার জন্য ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে সোনিয়া গান্ধীও ছিলেন বলেও জানান বৈঠকে।
বৈঠকে কংগ্রেসের অন্য নেতারা শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নকাজের ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এর আগে রাহুল গান্ধীকে খাদি পাঞ্জাবি, ‘কারাগারের রোজনামচা’, ‘বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবিনী’ উপহার দেওয়া হয় বলেও জানান বিপ্লব বড়ুয়া।
অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির আমন্ত্রণে আওয়ামী লীগের তিন সদস্যদের প্রতিনিধি দলটি ভারতে গেছে। ১৭ ও ১৮ মার্চ অনুষ্ঠেয় ৮৪তম ন্যাশনাল কংগ্রেসের প্ল্যানারি সেশনে তারা যোগ দেবে।
পাঠক মন্তব্য
During the 71 war Colonel MAG Usmany angrily entered the room of Taz Uddin Ahmed in India and asked if they were going to sell East Pakistan to India.Source: Freedom Fighter Dr. Jafrullah (who accopanied Col. Usmany then)
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন